আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি ।। বরগুনার আমতলীতে তীব্র শীতে দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনার আমতলীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষদের। সপ্তাহখানেক ধরে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে সূর্য।
মাঝে মাঝে সূর্যের খানিক আলোর দেখা মিললেও তা উষ্ণতা দিতে পারেনি শীতার্তদের। ফলে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এক টুকরো শীতের কাপড়ের জন্য স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টের সীমা নেই।
কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষদের। হাড় কাঁপানো শীত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য নিম্ন আয়ের লোকজন ছুটছেন ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানে।
ছোটদের জ্যাকেট ৩শ টাকা থেকে ৬শ টাকা, জাম্পার ১শ ৩০ টাকা থেকে ৩শ টাকা, বড়দের জ্যাকেট ৭শ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা,
জাম্পার ৩শ থেকে ৮শ টাকা, হাফ সোয়েটার ১৮০ টাকা থেকে ৫শ টাকা, ফুল সোয়েটার ২শ টাকা থেকে ৭শ টাকা, শাল ১৩০ টাকা থেকে ৮শ টাকা, চাদর ১শ টাকা থেকে ৭শ টাকা, দেশী সিঙ্গেল কম্বল ১২০ টাকা থেকে ৩শ টাকা, বিদেশী সিঙ্গেল কম্বল ১ হাজার ৮শ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫শ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে তীব্র শীতে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষদের রক্ষায় সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শীতার্ত মানুষের সাহায্যার্থে শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসার জন্য বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এদিকে, বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ৬৯১ টি কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে চাহিদা পাঠানো হয়েছে বলেও আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইস্রাফিল জানান।