চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা ও গোবিন্দহুদা গ্রামে হনুমানের কামড়ে ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। এছাড়া, হনুমানটি ওই এলাকার কমপক্ষে ১১টি গরুকে কামড় দিয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওই হনুমানের জালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে গ্রামবাসী। পরে গ্রামবাসী গুলি করে ও পিটিয়ে ক্ষ্যাপা ওই হনুমানকে হত্যা করে।
গ্রামবাসীরা জানান, রবিবার সকালে হনুমানটি চিতলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী আছিয়াকে প্রথম কামড় দেয়। পরে আরও ৪০ জনকে কামড়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তাদের স্থানীয় ক্লিনিক, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীবের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। এসময় গ্রামবাসী ওই হনুমানকে গুলি করে হত্যা করতে বললে পুলিশ তাতে আপত্তি জানায়। এক পর্যায়ে ওই গ্রামের চার বন্দুকধারীর সহযোগিতায় লাঠিসোঠা নিয়ে হনুমানকে তাড়া করে। এসময় হনুমান একটি তেঁতুলগাছে আশ্রয় নেয়। যুবলীগ নেতা স্বপন আলী বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে হনুমান মাটিতে পড়ে যায়। এরপর গ্রামবাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।
দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু বলেন, ‘দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা হনুমানের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
দামুড়হুদা উপজেলা পশুপালন ও ভেটেনারি সার্জন কর্মকর্তা ডা. আ হা ম শামিমুজ্জামান জানান, জলাতঙ্ক রোগের আশঙ্কায় হনুমানের কামড়ে আহত এক বাছুরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, আড়াই বছর আগে ওই হনুমান ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে এবং দামুড়হুদা এলাকায় বাস করছিল ।