সোমবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক তাঁতকল

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩ ২:২২ অপরাহ্ণ
কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক তাঁতকল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : টানা অবরোধ ও হরতালের কবলে পড়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কাপড় তৈরির তাঁতকলগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদিত কাপড় বিক্রি করতে এবং সুতাসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পারায় ইতিমধ্যে ছোট-বড় অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শ্রমিকেরা বিপাকে পড়েছেন।

Shamol Bangla Ads

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়া ও পুরস্কারপ্রাপ্ত মেসার্স বুলবুল টেক্্রটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহযোগী একটি কারখানা ১৯ ডিসেম্বর বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর কয়েক দিন আগে বন্ধ হয়ে গেছে বেঙ্গল টেক্্রটাইল, সায়লা টেক্্রটাইল ও সনি ফেব্রিক্্র। কারখানা বন্ধ হওয়ায় এ শিল্পে জড়িত মালিকসহ কয়েক হাজার শ্রমিক বিপাকে পড়েছেন।

বুলবুল টেক্্রটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রফিক বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় উৎপাদিত কাপড় বিক্রি হচ্ছে না। সুতাসহ কাঁচামাল আমদানি করা এবং শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি কয়েকটি কারখানা সপ্তাহে তিন দিন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। যেকোনো মুহূর্তে অন্য কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

Shamol Bangla Ads

কারখানার যন্ত্র মেরামতকারী জমির শেখ বলেন, ‘প্রায় ১৪ বছর হলো এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি, কখনো এমন সংকট দেখিনি। এবার এমন পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে কারখানা চালু রাখা মালিকের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুমারখালীতে যন্ত্রচালিত ৫০টির মতো কারখানা রয়েছে। এ ছাড়া ছোট ছোট প্রায় দেড় শ হস্তচালিত তাঁতকল রয়েছে। এসব কারখানায় উন্নতমানের চাদর, লুঙ্গি ও তোয়ালে তৈরি হয়। খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা এসব কাপড় কেনেন। বিশেষ করে এখানকার প্রিন্ট এবং চেক বিছানার কাপড় দেশের চাহিদা মিটিয়ে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে স্থান করে নিয়েছে।

স¤প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, হস্তচালিত তাঁতকলগুলোর প্রায় অর্ধেক বন্ধ রয়েছে। এ সময় কুমারখালী কাপড়ের হাট এলাকার তাঁতমালিক ইসমাইল হোসেন জানান, তাঁরা উত্পাদিত কাপড় সপ্তাহে দুই দিন হাটে বিক্রি করেন। কিন্তু বর্তমানে হাটে ক্রেতা নেই, তাই কাপড় বিক্রি করতে পারছেন না। এ ছাড়া কাঁচামাল আনতে পারছেন না। ফলে তিনিসহ অনেকে তাঁতকল বন্ধ রেখেছেন।

কুমারখালী পাওয়ারলুম অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মেসার্স রানা টেক্্রটাইলের পরিচালক মাসুদ রানা বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা আসা বন্ধ করে দেওয়ায় উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। সুতাসহ অন্যান্য কাঁচামাল পরিবহনের অভাবে আমদানিও বন্ধ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়েই ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে কারখানা আট ঘণ্টা চালু রাখা হয়েছে। সেটাও হয়তো বেশি দিন চলবে না।

সোনালি হস্তশিল্পের পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, কাঁচামাল না থাকায় কাজ বন্ধ হতে চলেছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ৬০০ থেকে ৭০০ নারী শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!