মশিউর রহমান পিংকু, ভোলা : স্থগিতাদেশের আগেই ভোলায় জমা পড়েছে ১১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল ধরনের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশে অস্ত্র জমা দিতে শুরু করে মালিকরা। পরে বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রণালয়ের অপর এক সংশোধনী আদেশে বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার আদেশ স্থগিত করা হয়।
পুলিশের দেয়া তথ্যমতে জানা যায়, ভোলার ২০৫টি বৈধ অস্ত্রের মধ্যে ১১৭টি জমা পড়েছে। ভোলা সদর থানায় ১১০টি বৈধ অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৮০টি, দৌলতখান থানায় ১৫টির মধ্যে ৩টি, বোরহানউদ্দিন থানায় ৩৯টির মধ্যে ১৮টি, তজুমদ্দিন থানায় ৪টির মধ্যে ১টি, লালমোহন থানায় ১০টির মধ্যে ১টি, চরফ্যাশন থানায় ২৯টির মধ্যে ১৪টি বৈধ অস্ত্র জমা পড়েছে। তবে ২০৫টি বৈধ অস্ত্রের মধ্যে ৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জেলার বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে। এছাড়া মনপুরা থানায় ৮টি বৈধ অস্ত্র থাকলেও জমার তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২৩শে ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে ২৭ডিসে¤¦রের মধ্যে সকল ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা বারুদ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরে ২৬ ডিসেম্বর স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সংশোধনী আদেশে বলা হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের অস্ত্র জমাদানের আদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হল। যেসব নির্বাচনী এলাকা নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে সেসব এলাকায় ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে ৭ জানুয়ারী ২০১৪ পর্যন্ত লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের ভোট কেন্দ্রে ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাচল এবং প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ থাকবে। তবে নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যেকোন লাইসেন্সধারীকে তার আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার আদেশ স্থগিত করেছে। ভোলার বিভিন্ন থানায় জমা হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ইচ্ছে করলে মালিকরা নিয়ে যেতে পারবেন।