বেতাগী (বরগুনা) সংবাদদাতা: বরগুনা-২ আসনের নির্বাচনে বিএনপির ভূমিকা স্পষ্ট না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি জাতীয়ভাবে নির্বাচন প্রতিহত ও ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য নেতা-কর্মিদের উৎসাহিত করার ঘোষনা দিলেও তৃণমুল পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মি এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম. আবুল হোসেন সিকদারের পক্ষ নিয়ে তাদের ভিন্নসুরে কথা বলতে দেখাগেছে। এতে নির্বাচনী এলাকা বেতাগী-বামনা ও পাথরঘাটা এই তিন উপজেলার অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। ফলে নির্বাচন নিয়ে তাদের মাঝে দুরত্ব ও ব্যবধানের সৃষ্টি হয়েছে।তবে নীরবে অবস্থান নিলেও দলের কঠোর মনোভাবের অধিকারী প্রথম সারির কোন নেতৃবৃন্দ সরাসরি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে কোথাও অংশগ্রহন করছেন না এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এমনটাই জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে তারা নির্বচন প্রতিহত করবেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন আঠার দলীয় জোট বর্তমানে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তও¦াবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। শত শত মানুষ প্রান দিয়েছে। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেনা। এ অবস্থায় বিএনপির কোন নেতা-কর্মি এ নির্বাচনে অংশনেবেনা। জেলা বিএনপির এ বক্তব্যর সাথে একমত পোষন করেছেন বেতাগী উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র শাহজাহান কবির। এদিকে দলীয় সুএ আরও জানায়,বিএনপির কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে।এর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে যারা কাজ করছেন এসব নেতা-কর্মির ভিন্ন মতামতও রয়েছে।তারা মনে করেন, একটি আসনে নির্বাচনের ব্যাপারে জাতীয়ভাবে কিছু আসা যায়না।তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে হারিয়ে এক দলীয় এ নির্বাচনেও এখানকার মানুষ শেখ হাসিনার সরকারকে প্রত্যাখান করে। জাতীর সম্মুখে তা তুলে ধরে সংগঠনের এ এলাকার ভাবমুর্তি উজ্বল করতে চান বলে নেতৃবৃন্দ জানান।
জানাগেছে,দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তাফসীল ঘোষনা দেওয়ার পর থেকে নির্বাচন নিয়ে বেতাগী,বামনা ও পাথরঘাটায় দলের একাধিক সভায় বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের অধীনে ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহনতো দুরের কথা যে, কোন মুল্যে প্রতিহত করবে বলে ঘোষনা দেন। তাই এ নির্বাচনে কে হারলো আর কে জিতলো তা নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ ও উৎসাহ নেই।কেউ অংশনিলে তাদের ব্যাপারে সম্পর্কে সজাগ,সতর্ক থাকবে এবং কেউ যাতে ব্যবহার না হতে পারে সে ব্যাপারে কঠোর হওয়ার আহবান জানান।