বেতাগী(বরগুনা) সংবাদদাতা : বরগুনা-২) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন,স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম. আবুল হোসেন সিকদার ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর গণফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান লিটন কে সরাসরি মাঠে দেখা না গেলেও নিজ খরচে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহবান সম্বলিত প্রচার পএ বিলি করে আলোচনায় এসেছেন। ইতোমধ্যে দুই প্রার্থী রাত-দিন পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন তারা।১৪ ডিসেম্বর থেকে তারা এ প্রচারনা চালাচ্ছেন।নির্বাচনী এলাকায় শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার।চলছে মাইকিং।ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকা বেতাগী,বামনা,পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুশল বিনিময়,গনসংযোগ,বেশ কয়েকটি পথসভা ও সমাবেশ করছেন।নৌকা মার্কার সমর্থনে বেতাগীতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য প্রার্থী শওকত হাচানুর রহমান রিমন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম গোলাম কবির, সাবেক পৌর মেয়র আবুল কাশেম,আওয়ামীলীগের উপদেস্টা আবদুস সোবাহান,সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক খান, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদীছুর রহমান পান্না। সমাবেশে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানানো হয়।
দেশের উন্নয়ন ও এলাকার স্বার্থে মোরগ মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড.এম. আবুল হোসেন সিকদার, সাবেক সংসদ সদস্য ড.আবদুর রহমান খোকন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী নফিছুর রহমান চুন্নু,সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী শরীফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান খ.ম.ফাহরিয়া সংগ্রাম আমিনুল।এ দিকে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগের পাশাপাশি দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পরেছে বেতাগী জাতীয় পার্টি।জাপার প্রার্থী বিকাশ হাওলাদার দলের চেয়ারম্যান সাবেক রাস্ট্রপতি এইচ.এম. এরশাদের আহবানে মনোনয়ন প্রত্যাহার,পরবর্তীতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনার পর নির্বাচন নিয়ে তারা নীরবে ছিল কিন্ত বুধবার স›দ্ব্যায় জাপার উপজেলা সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়া নওরোজ ও পৌর সভাপতি নাসির উদ্দিন পিযুষের নেতৃত্বে হঠাৎ শোডাউন করে তাদের অস্তিত্বের জানান দেয়ার পর থেকে জাপার অধিকাংশ নেতা-কর্মিদের নির্বাচনী মাঠে দেখা যাচ্ছে।কিন্ত নেতা-কর্মিরা আওয়ামীলীগ ও কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পরেছেন এমনটাই জানিয়েছেন দলের একাধিক নেতা।