রামগঞ্জ(লক্ষীপুর)প্রতিনিধিঃ তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী দশম জাতীয় নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও রামগঞ্জ বেশীর ভাগ সাধারণ জনগন বলেন, বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচন নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই। লক্ষীপুর-১ রামগঞ্জ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিল করার পর ১ জন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাজাহান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। উল্লেখিত ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাজাহান দলীয় ভাবে মনোনয়ন পেয়েও পরবর্তীতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়ালকে কেন্দ্রীয় ভাবে মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর মহাজোট প্রার্থী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে রামগঞ্জ শহরে এসে নির্বাচনী সভা করে ওই দিন ফের হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা ফিরে যান। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মাহমুদ এখনো নির্বাচনীয় এলাকায় আসেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকেও রামগঞ্জ শহরে এসে গণ সংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে না। বিরোধীদল বিহীন এ নির্বাচনে রামগঞ্জে নির্বাচনী আমেজ ও প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা না থাকার কারণে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এ কেমন নির্বাচন।