মহম্মদপুর (মাগুরা) : মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে শুক্রবার সকালে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দু’পক্ষেও সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে । সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ৮টি বসত ঘর ভাংচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৩টি মোটরসাইকেল। পূনরয় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আক্কাচ আলী জানান, বৈদ্যুতিক লাইন সম্প্রসারণের জন্য পিলার স্থাপনকে কেন্দ্র করে রামপুর গ্রামের চাচা আসাদ মোল্যা ও ভাতিজা মানিক মোল্যার মধ্যে বেশকিছু দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকালে চাচা-ভাতিজার মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০ ব্যক্তি আহত হয়। এদের মধ্যে মানিক (২৫), জাহানারা (৫৫), স্বপ্না (২৪), সেলিম (৩৫), বুলু (৪০, হাশেম (৩২) কে মহম্মদপুর ও বুলবুল (৩৮) কে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় মানিক, সালাম ও সরোয়ারের ৮টি বসত ঘরে ব্যাপক ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় মানিক মোল্যা পার্শ্ববর্তী কালিশংকরপুরের শ্বশুর বাড়িতে ফোন করলে সেখান থেকে ৩টি মোটরসাইকেলে কিছু লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের সাথেও কথাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে দুইটি পালসার ও একটি সিঙ্গার মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা।
ঘটনাস্থল থেকে মহম্মদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’