সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : গত ৩ দিনে সিরাজগঞ্জ সহ উত্তরবঙ্গে শীত জেঁকে বসেছে । শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । এদিকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জে শত শত শিশু ডাইরিয়া, নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে ।
সরকারী ও বে-সরকারী হাসপাতাল গুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকগণ । বেডে জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে থাকতে হচ্ছে অনেক রোগীকে । সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি গ্রামের মোঃ আশরাফ আলী তার দেড় মাস বয়সী শিশু সাব্বিরকে ৩ দিন হয় জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন । শিশুটির নিউমনিয়া হয়েছে বলে তিনি জানালেন ।
একই উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের আলামিন জানান, তার ২৬ দিন বয়সী শিশু সন্তান আলভি হটাৎকরে অসুস্থ হয়ে পড়লে দু’দিন আগে তাকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে । শিশুটির নিউমনিয়া হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন । বেলকুচি উপজেলার চরবেল গ্রামের মোঃ সোহেল তার ২ মাস বয়সী শিশু সাদিককে এবং সদর উপজেলার বাঐতারা গ্রামের মহরআলীর ৩ মাস বয়সী শিশু তাজিমকে জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়াজনিত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে । বেডে জায়গা না থাকায় তারা রোগী নিয়ে া মেঝেতে রয়েছেন । জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ ফরিদুল ইসলাম জানান, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডাইরিয়া,নিউমনিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা বেশী খারাপ।
বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৭০ শিশু ভর্তি হয়েছে এবং প্রায় শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০জন শিশু ভর্তি হচ্ছে । যাদের বেশীর ভাগ ডাইরিয়া,নিউমনিয়া ও ঠান্ডা জনিতরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা রয়েছে ২০টি কিন্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে মেঝেতে রাখতে হচ্ছে। ওষুধের কোন সমস্যা নেই, তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন । এভাবে চলতে থাকলে আগামী দু’ তিন দিনে শিশু রোগীর সংখ্যা ৩ শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে গড়ে প্রতিদিন ১৫-২৫ শিশু ডাইরিয়া,নিউমনিয়া,আমাশয় সহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে ভর্তি হচ্ছে।