এস.এম জামাল, কুষ্টিয়া : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার মধ্যে বেশির ভাগই ছিল অসত্য ও বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা তথ্য সম্বলিত। নাশকতামূলক কর্মকান্ড বন্ধ করতে গিয়ে যৌথ বাহিনীর যে দুই একজন নিহত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া তার নিন্দা জানিয়েছেন, শোক প্রকাশ করেছেন। কিন্তু যাদেরকে নিষ্ঠুরভাবে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে তাদের নিয়ে উনার কোন বক্তব্য নেই। উনি এ ব্যাপারে দু:খ প্রকাশ করেননি, সহমর্মিতাও জানাননি। ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি ওইসব কথা বলেন। মাহবুব-উল আলম হানিফ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন।
গণসংযোগকালে তিনি বলেন, দেশ এখন ২টি ধারায় বিভক্ত হয়ে আছে। একটি ধারা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষে, আরেকটি বিপক্ষে। এই যে বিএনপি বর্তমানে নির্বাচনে আসলো না, তাদের বড় বাধা হচ্ছে জামায়াত। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে বাঙালিদের উপর হত্যা, নারী নির্যাতনসহ জ্বালাও পোড়াও করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। মামলা হওয়ার পর বিচার কার্য চলছে এবং ইতিমধ্যে বিচারের একটি রায়ও কার্যকর হয়েছে। এসব অপরাধের কারনে জামায়াতে ইসলামী দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে তাই জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন করার সুযোগ নেই। হানিফ আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গত ৫ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারো নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-উপ-সম্পাদক মেহেদী হাসান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আমিনুল হক রতন, সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী মূর্ত্তজা খসরু প্রমুখ। এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবু, ইবি ছাত্রলীগের সিনিয়র আহবায়ক কমিটির সদস্য হিরন রেজা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির রহমান তুষার, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা আরশেদ আলীসহ আওয়ামী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।