শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচারে ভরপুর’ বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে- এটা উপলব্ধি করেই খালেদা জিয়া এর দায় সরকারের উপর চাপাতে চাইছেন।
এসময় তিনি বলেন, দেরিতে হলেও খালেদা জিয়া ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাকে অনুরোধ করব, এই উপলব্ধি থেকেই উনি যেন ওইসব কাজ (নাশকতা) থেকে বিরত থাকেন। দেশে ‘শান্তি’ ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতেও বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে নয়, তত্বাবধায়ক সরকার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে খালেদা জিয়া আন্দোলন করছেন। লংমার্চে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। তার প্রতিটি আন্দোলনেই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য।
তিনি আরও বলেন, জেগে থেকে ঘুমালে কেউ জাগাতে পারবে না। জামায়াত নির্বাচন করতে পারছে না বলেই তাদের দোসর হিসেবে তিনিও (খালেদা) নির্বাচনে আসবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের নাশকতার ঘটনাগুলোও তুলে ধরে আমু বলেন, সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণকে উপহার দেব। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা (বিএনপি) জিতল, কোনো উচ্চবাচ্য তো হলো না। তাহলে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অসুবিধা কী। তত্বাবধায়কের দরকার নেই। কারণ আমরা মিথ্যা ভোটার করিনি। আমরা চুরি করেও ধরা পড়িনি। কেন তিনি এ দাবি করছেন আমাদের বোধগম্য নয়।
তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসন কি-না, একদলীয় কি-না সেটা নির্বাচনের পরেই বোঝা যাবে। কে নির্বাচনে আসল, না আসল এর জন্য নির্বাচন প্রহসনের হতে পারে না। বিরোধী দলের আন্দোলন সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির আন্দোলন। তবে সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। সেটা করতেও দেয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।