তাপস চন্দ্র সরকার, চট্টগ্রাম উত্তর ব্যুরো : কুমিলা-সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বারে অবরোধের চেষ্টাকালে ৫ শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে জেলার মনোহরগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালিয়ে বিএনপি জামায়াত-শিবিরের ২১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। রোববার ও সোমবার পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী ও পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
জানা যায়-কুমিল¬ার মনোহরগঞ্জে যৌথ বাহিনী রোববার রাত ১১ টা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এদিকে অবোরধ চলাকালে গতকাল সোমবার ভোরে কুমিল¬াা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে মনোহরগঞ্জের বিহড়া ব্রীজ এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মাল বোঝাই ৪ টি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। পরে ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টিম পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এছাড়া ওইদিন রাতে উপজেলার লক্ষনপুরে সাংবাদিকদের বহনকারী একটি সিএনজি অটোরিক্সায় ভাংচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার লক্ষনপুর, নাথের পেটুয়া ও বিপুলাসার এলাকায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এসময় তারা বিএনপি ও জামায়াতের ২১ জন নেতাকর্মীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক (২৪), দুলাল মিয়া (১৯), সাইফুল ইসলাম (১৮), সোলাইমান (২৪), পারভেজ হোসেন (১৮), রিপন মিয়া (১৮), সুলতান আহমদ (৩৭), আবদুর রহমান (১৮), আবদুর রহিম (২২), আবদুল বাতেন (৫০), ফয়েজ উলাহ (৩৬), ইকবাল আহমেদ (১৮), রুবেল (১৮), ইব্রাহীম খলিল (২২), মাওলানা সোলাইমান (৪৮), জামাল হোসেন (২২), আবদুল কুদ্দুস (৫০), মাসুদ (১৯), হারুনুর রশিদ (৪২) ও ইলিয়াছ মিয়া (৩২)। আটককৃতরা সকলেই বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হারুন-অর-রশিদ চৌধুরি বলেন, আটককৃতদের পুলিশের উপর হামলা ও সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কুমিলা-সিলেট মহাসড়কের দেবীদ্বারে অবরোধের চেষ্টাকালে ৫ শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ইউছুফপুরে কুমিলা-সিলেট মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার নগরপাড় গ্রামের শিবিরের সাথী মো. আশিকুর রহমান (২৪), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নালা গ্রামের শিবিরের সাথী মো. আবদুল ছাত্তার (২১), একই গ্রামের শিবিরের সাথী মো. সাইফুল ইসলাম (১৮), শিবির কর্মী মো. রায়হান (১৫), দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল গ্রামের শিবির কর্মী মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৪)। আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।