সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ইসলামপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক চলছে ফাঁকিবাজি সিংহভাগ শ্রমিক নেই কাজে : আছে শুধু খাতা কলমে

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ
ইসলামপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক চলছে ফাঁকিবাজি সিংহভাগ শ্রমিক নেই কাজে : আছে শুধু খাতা কলমে

ইসলামপুর প্রতিনিধি : ইসলামপুরে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি ইজিপিপির প্রকল্পের কাজে ব্যাপক ফাঁকিবাজি,অনিয়ম-দূর্নীতি চলছে। জানা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পের ইসলামুপর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট উপকার ভোগীর সংখ্যা রয়েছে ৫হাজার ১শ’৭১জন। উপকার ভোগীর জন প্রতি কর্মদিবসে হাজিরা ২শ’ টাকা করে মজুরী রয়েছে মোট ৪কোটি ১৩লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সরদার মজুরী রয়েছে ২লাখ ১৬ হাজার টাকা। এছাড়াও নন-ওয়েজ কস্ট বাবদ বারাদ্দ রয়েছে ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার ২শ’২৮ টাকা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বরাদ্দকৃত টাকায় সঠিক কাজ না করে হরিলুটে মহোৎসব চলছে। প্রকল্পের কাজের কোন নীতিমালাই মানা হচ্ছে না। প্রকল্পের চেয়ারম্যান-সরদাররা যে যার মতো কোনরকম দায়সারা ভাবে চুক্তি ভিত্তিক কাজ করছে। কোন প্রকল্প ঘুরে প্রকল্পের তালিকা মোতাবেক শ্রমিক কাজে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। অথচ শতভাগ হাজিরা টেনে ভূয়া শ্রমিকের নামে বিল তৈরী করে প্রথম কিস্তির টাকা তুলার পায়তারা করছে প্রকল্প চেয়ারম্যানরা।

Shamol Bangla Ads

ইসলামপুর সদর ইউনিয়নে শনিবার কর্মদিবসে কোন শ্রমিক কাজ করে না। ব্যাপক ফাঁকিবাজি চলছে এ ইউনিয়নের কর্মসৃজন কাজের। ৪৪৮জন শ্রমিক ৬টি প্রকল্পে কাজ করা কথা থাকলেও সিংহভাগ শ্রমিক কর্মদিবসে হাজির হয় না। অভিযোগ রয়েছে একই ভাবে এ ইউনিয়নে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে কর্মসৃজন প্রকল্পের সঠিক কাজ না করে সিংহভাগ টাকা হরিলোট করা হয়েছে।

চিনাডুলী ইউনিয়নে প্রকল্প গুলোতে গত ৩০ নভেম্বর থেকে প্রকল্পে কাজ শুরু হলেও নাম মাত্র ৩/৪ দিন কাজ করে  শ্রমিকদের বসিয়ে রেখেছে প্রকল্পর চেয়ারম্যানরা।

Shamol Bangla Ads

নোয়ার পাড়া ইউনিয়নের  উলিয়া সুরুজ্জামান ‘স’ মিল হতে কড়ির তাইড় ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও বেম্বু প্যালাসেটিং নির্মাণ প্রকল্পে ১৫৩জন উপকার ভোগী কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ৭০/৮০ জন শ্রমিক। কর্মদিবসে অর্ধেক শ্রমিক অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা দেখানো হচ্ছে শতভাগ। বেম্বু প্যালাসেটিংয়ের কোন কাজই হয়নি। এক অবস্থা  ইউনিয়নের আরো চারটি প্রকল্পের।

কুলকান্দি ইউনিয়নে ৫টি প্রকল্পের ২৬৪ জন শ্রমিক কাজ করা কথা থাকলেও সিংহভাগ শ্রমিক প্রকল্পের কাজে উপস্থিত নেই। আঃ রহিম মেম্বারের প্রকল্পে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হইতে দুলাল বিএসসির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও বেম্বু প্য্লাাসেটিং নির্মাণে ৬৫জন শ্রমিক ধরা থাকলেও কাজ করছ মাত্র ৩৫জন। মায়মানু মহিলা মেম্বারের জোদ্দারপাড়া চৌরাস্তা হইতে কাইলের দোকান হয়ে দেলু মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে  কাজে ৪৫জন শ্রমিক ধরা থাকলেও কর্মদিবসে শ্রমিকরা ফাকি দিচ্ছে। একই অবস্থা কুলকান্দির অন্যান্য প্রকল্পের।

বেলগাছা ইউনিয়নে ৫টি প্রকল্পে ৩৯৪ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও সিংহভাগ শ্রমিকরা কাজে করছেনা।  এখানেও কর্মদিবসে চলছে ব্যাপক ফাঁকিবাজি। সুরুজ মেম্বারের ধনতলা লুৎফরের বাড়ি পাঁকা রাস্তা হইতে কুলকান্দি সীমানা পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও বেম্বু প্যালাসেটিং নির্মাণে ১২০জন শ্রমিক ধরা থাকলেও কাজ করছে মাত্র৭০জন।

পলবান্ধা ইউনিয়নের সভাপতি ছানোয়ার হোসেনের প্রকল্প দক্ষিণ বাহাদুরপুর জয়নালের বাড়ী হইতে হাসানের কাঠ বাগান পর্যন্ত রাস্তা পূনঃ নিমার্ণ ও বেম্বু প্যালাসাইটিং প্রকল্প কাজে ১১৭জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ৪২জন।  উত্তর বাহাদুরপুর পাকা রাস্তা হইতে দাখিল মাদরাসা পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও বেম্বু প্যালাসেটিং নির্মাণ করণ প্রকল্প কাজে ২৭ জন শ্রমিক কাজ করা কথা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ১৬/১৭ জন্য। এ প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপি মেম্বার বেলাল উদ্দিন নিজেও একজন শ্রমিক ; হাজিরা খাতায় তার নাম রয়েছে। লেবার সরদার ছমেদ আলীর ভাষ্যমতে, এ প্রকল্পের তালিকায় পলবান্ধা ইউনিয়নে চৌকিদার বেলালও এক জন শ্রমিক। এ প্রকল্পে নূর ইসলাম হলেন দলীয় শ্রমিক,যিনি কাজ না করেও দলীয় প্রভাবে হতদরিদ্রদের টাকা তুলে খাবেন। এছাড়াও  নবির উদ্দীন, শরিফউদ্দিীন, হরমুজ আলী ও আলমগীর নামে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মজিবর জোদ্দারের ভাগের ভিআইপি শ্রমিকও রয়েছে এ প্রকল্পে। যারা কোন দিনই কাজ করবে না। কিন্তু তাদের নামে শ্রমিক বেতন তোলে হরিলুট করা হবে। একই চিত্র  এ ইউনিয়নের অন্যান্যা প্রকল্পসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ইজিপিপি প্রকল্প গুলোর। যেন দেখার কেই নেই। অথচ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে এ সব প্রকল্পের কাজের তদারকির জন্য রয়েছেন ১জন করে তদারকি কর্মকর্তা ও সুপার ভাইজারসহ উপজেলা প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!