ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ইউরিয়া সার পাশের উপজেলায় পাচার কালে রবিবার জনতার হাতে আটক হলে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে আটক সার বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিষ্ট সার ডিলারদের শোকজ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভোলাহাট উপজেলার কিছু অসৎ সার ডিলার অতিরিক্ত দরে পাশের উপজেলা শিবগঞ্জের কথিত কৃষকদের মাঝে গোপনে সার বিক্রয় করে সার সংকটের সৃষ্টি করায় স্থানীয় কৃষকেরা সার সুবিধা বঞ্চিত হলে ফুঁসে উঠে কৃষক সমাজ।
ঐ সব অসাধু সার ডিলারদের কাছে সার ক্রয় করতে গিয়ে সার না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ কৃষকেরা বিভিন্ন সূত্রে প্রয়োজনীয় সারের মজুদ আছে জেনে সার উধাও হয়ে যাওয়ার নেপথ্যের কারণ খুঁজতে গিয়ে জানতে পারেন পাশের উপজেলায় বস্তা প্রতি সরকারী মূল্য ৮/সাড়ে ৮শত টাকার স্থলে অতিরিক্ত বস্তা প্রতি সাড়ে ৯শত / ১ হাজার টাকায় কালো বাজারে প্রতিনিয়ত বিক্রয় করছে ডিলারেরা।
এ ঘটনায় উপজেলার মেডিকেল মোড়ে রবিবার সকালে উঁৎপেতে থাকা সার না পাওয়া ভূক্তভূগি কৃষকেরা শিবগঞ্জ উপজেলায় পাচার হয়ে যাওয়া ৮ বস্তা ইউরিয়া সার আটক করে। আটক সার বহনকারী শিবগঞ্জ উপজেলার হাউসনগর গ্রামের রাইসুদ্দিনের ছেলে একরাম, একই গ্রামের হামদুল মন্ডলের ছেলে আজাহার, দূর্গাপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে নাসিম আলী এ সার পাচারকালে আটক হয় কৃষকদের হাতে।
আটককৃতরা বলেন, মেডিকেল মোড়ের সহিমুদ্দিন সার ভবন ও ভাই ভাই ট্রের্ডাস ডিলারদের নিকট থেকে ৯শত ৫০ থেকে ১ হাজার টাকা বস্তা দরে ক্রয় করেছেন সার। পরে খবর পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদসহ তার দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বিষয়টি নির্বাহী অফিসার কাজী জিয়াউল বাসেত জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং পাচার হয়ে যাওয়া ৮ বস্তা সার বাজেয়াপ্ত করে কৃষকদের কাছ থেকে আদায় করা সাড়ে ৯ শত/১ হাজার টাকা ডিলার দের ফেরৎ দেয়ার নির্দেশ দেন এবং অতিরিক্ত দরে সার বিক্রয় ও পাশের উপজেলায় সার কেন পাচার করা হচ্ছে মর্মে শোকজ নোটিশ দেয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।