আত্রাই নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে উঠে পড়ে লেগেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতি। ডোনেশনের নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাক্ষ লাক্ষ টাকা এতে একটি পক্ষ লাভবান হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিষয়টি নিলাম পর্যায়ে উঠেছে এর সাথে যোগ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে ৩শত থেকে ৫শত টাকা পর্যন্ত অফেরত যোগ্য ব্যাংক ড্রাফট/প্রে-অডার ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থ আদায়। উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই অভিনব চাতুরির জন্য দেশের অন্যান্য স্থানের যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীরা কোন ভাবেই এসব প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারে না।
গভর্নিং বডির সভাপতি থেকে শুরু করে সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তি এই শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের সাথে জরিত বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন এক দিকে প্রতিনিয়ত চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে অযোগ্যরা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ লাভ করে ছাত্র/ছাত্রীদের যথা যথ পাঠ দানে ব্যর্থ হচ্ছে। এই বিপুল অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে পাকা রশিদ বা প্রমাণ নেই। ফলে নির্দিষ্ট অভিযোগ কেউ তোলেন না। সরকারের এই ক্ষেত্রে করার কিছু থাকে না। এসব টাকা ব্যাংকের চেক, ড্রাফট বা পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে নেওয়া হয়না। নেওয়া হয় নগদ টাকা সরসারি প্রতিষ্ঠান প্রধান বা তাঁর মনোনিত কোন নিদিষ্ট ব্যক্তি মাধ্যমে, যাতে কোন প্রমাণ থাকে না। এ এলাকার মেয়েদের অভিভাবকরা ডোনেশন দিয়ে তাদের মেয়েদের শিক্ষকতায় ঢুকাতে বেশি ব্যস্ত। এর পেছনে রয়েছে সামাজিক কারণ। মেয়ে স্কুল-কলেজ বা মাদ্রাসায় চাকরি করলে ভালভাবে পাত্রস্থ করতে পারেন বলেই তাঁরা ডোনেশনের দিকে ঝুকে পড়েছেন।
এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডোনেশন নেওয়ার বিষয়টি এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। ডোনেশনের এ টাকা যেমন ভাগাভাগি হয়ে আত্মসাৎ হয় আবার প্রতিষ্ঠানের কিছু লোক দেখানো কাজও করা হয়।