তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে বিএনপি’র আধিপত্তর বিস্তার নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্ব›েদ্বর জের ধরে অবরোধের মাঠে লাঠি, সোডা ও দা, বঠি নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ২২ ডিসেম্বর রবিাবর সকালে গোলাপাড়া বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠি চার্জ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এনিয়ে বিএনপি’র দুটি গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৮ দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে তানোর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন গ্রুপের অনুসারী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মালেক তার অনুসারীদের নিয়ে আলাদা ভাবে রবিবার সকালে তানোর গোলাপাড়া বাজারে অবস্থা নেন। এসময় তানোর বিএনপি’র সভাপতি এমরান মোলার সমর্থক উপজেলা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের অনুসারীরা থানা মোড় হতে অবরোধের পক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে গোলাপাড়া বাজারের দিকে যান। সেখানে মালেকের লোকজন মিছিল দেখে উস্কানি মূলক আচরণ করেন। এতে উভয় গ্র“পের মধ্যে লাঠি, সোডা ও দা বঠি নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় তানোর সদরের পুরো বাজার এলাকায় অস্থিরতা বিরাজ করে চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মালেক গ্র“পের লোকজনের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এঘটনার পর থেকে বিএনপি’র দুটি গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে, এমরান সমর্থক নেতাকর্মীরা ঘটনার আধাঘন্টা পরে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। অবরোধ চলাকালে রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। বেলা ১২টার দিকে বিএনপি ও জামায়ত এক হয়ে অবরোধের পক্ষে মিছিল বের করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে উপজেলা ডাকবাংলো চত্বরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন তানোর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমরান আলী মোলা, সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মোলা, চেয়ারম্যান মোজম্মেল হক খান, তানোর পৌর বিএনপির সভাপতি বিশ্বনাথ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী, তানোর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, তানোর থানা জামায়াতের আমির সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ সৈয়দ প্রমুখ।