তাপস চন্দ্র সরকার, চট্টগ্রাম উত্তর ব্যুরো : কুমিলায় নাশকতা আশঙ্কায় রাজনৈতিক সহিংসতায় বিস্ফোরকের ব্যবহার আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যাচ্ছে হাত বোমা। নগরীর বিভিন্ন স্থানে গোপনে তৈরী করছেন ককটেল, হাত বোমা ও পেট্রোল বোমাসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক। কুমিলা বিশেষ গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক সোহেল আহমেদের নেতৃত্বে নগরীর দৌলতপুর থেকে একাধিকবার ককটেল উদ্ধার করা হয়। ওই সময় দৌলতপুর থেকে ১৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছিল। ফলে নাশকতা আশঙ্কায় কুমিলা দিন দিন হাত বোমা ব্যবহার বেড়েই চলছে। রবিবার ও শনিবার ডিবি পুলিশের অভিযানে নগরীর দক্ষিণ চর্থা তালতলা চৌমুহনী ৮টি ও নওয়াববাড়ি চৌমুহনী ৬টিসহ ১৪টি ককটেল পরিত্যক্ত অবস্থা উদ্ধার করেছে বিশেষ গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।
কুমিলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিলা বিশেষ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ’র সেক্রেটারী অফিসার জিলুর রহমান, উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমেদ, এএসআই নজরুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে রবিবার ভোরে নগরীর দক্ষিণ চর্থা তালতলা চৌমুহনীর বায়তুল নুর বাড়ির পাশ থেকে ৮টি ককটেল ও শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় নওয়াববাড়ি চৌমুহনী এলাকার বাবুল ঠিকাদারের বাড়ির পাশের ড্রেন থেকে ৬টি ককটেল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ককটেলগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক সোহেল আহমেদ জানান- নাশকতা আশঙ্কায় ককটেলগুলো তৈরী করা হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোবাবর রাতে ১৪টি ককটেল উদ্ধার করে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।