চট্টগ্রাম উত্তর ব্যুরো : কুমিলা চেম্বার অব কর্মাসে কুমিলা সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খাঁনের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২২ ডিসেম্বর রোববার দুপুর ১২টায় ।
ওই সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিক্ষা ও সাংস্কৃতির পাদপীঠ কুমিলার সদর আসন থেকে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খাঁন ইমরান বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে আমি নিয়মিত বিভিন্ন হুমকি-ধমকির স্বীকার হচ্ছি। আমার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খাঁন এডভোকেট ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি প্রায় ৬০ বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিলা সদর আসন থেকে আমার পিতা আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও দলীয় নেত্রীর সিদ্ধান্তকে আমার পিতা সম্মান জানিয়েছেন। পরবর্তীতে কুমিলাবাসী ও আমাদের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি সদর আসন থেকে “ আনারস” প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে সদর আসনে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, চুরি-ছিনতাই ও হত্যা অহরহ ঘটেছে। চাঁদাবাজদের টাকা না দিলে মানুষ ব্যবসা করতে পারেনি, নতুন ভবন নির্মান করতে পারেনি। সরকারি অফিস গুলোতে নিয়মিত নিরব টেন্ডারবাজি হচ্ছে। মানুষ ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারছে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান বলেন, কুমিলার মানুষ সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায়। জনগণের কথা চিন্তা করে এবং জনগণের সমর্থন নিয়েই আমি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করছি। আমি কুমিলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার পিতা অসংখ্য কুমিলার শিক্ষার উন্নয়নে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন এবং মানুষের সুখ-দুঃখে আমার পরিবার সব সময় ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় কুমিলাবাসীর জন্য আমারও কিছু করার রয়েছে। কুমিলাবাসী যদি আমাকে সে সুযোগ দেয় তাহলে কুমিলার উন্নয়নে আমি নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর আমি যে সব নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছি, সেখানেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এ খবর পেয়ে আমার প্রতিদ্বন্ধীরা ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে, আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়ী গিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং হয়রানি মুলক মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি (স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান) বলেন, সদরের এক প্রার্থী গত ২০ ডিসেম্বর বিকেলে পূবালী চত্ত¡রে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ রেখে ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূবালী চত্ত¡রে এনে আমার কর্মীদের চামড়া তুলে ফেলা হবে। এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি, আমার গণসংযোগ বাধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান খাঁন বলেন, কুমিলাবাসী আমার শক্তি। আমি তাঁদের ভালবাসা ও সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
কুমিলার সদর আসন থেকে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খাঁন ইমরান সাংবাদিকদের নানাহ প্রশ্নের জবাবে বলেন- আমার শ্রদ্ধাভাজন “চাচা” আমার বাবার সাথে রাজনীতি করেছেন। কুমিলাবাসী ও আমাদের নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিলা সদর আসন থেকে “আসনার” প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। যারা সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব সৃষ্টি করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আজই অফিসিয়াল ভাবে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে জানানো হবে। ইমরান খান বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধীরা ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে এবং আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়ী গিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইমরান খাঁনের বোন মোসা: আঞ্জুমান সুলতানা সীমা ও তাঁর সমর্থক অধ্যক্ষ তাপস কুমার বকসী সহ কুমিলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।