শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার প্রতিশ্রুতি থাকছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। সেই সঙ্গে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন ও আন্তর্জাতিক মানের দ্বিতীয় বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণাও থাকছে। এবারের ইশতেহারের স্লোগান হচ্ছে ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন’। ইশতেহারে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার অঙ্গীকারও থাকবে। এ সপ্তাহেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে দলের শীর্ষ নেতারা ইশতেহার তৈরির কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছেন। এখন ইশতেহারের সবদিক যাচাই-বাছাই এবং সংযোজন-বিয়োজন করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২১ ডিসেম্বর শনিবার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে দলের বিজয় দিবসের আলোচনা মঞ্চে ইশতেহার নিয়ে তাকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ইশতেহারে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দলের অঙ্গীকার আরও জোরালো করার অঙ্গীকার থাকছে। সেই সঙ্গে তরুণ এবং নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকবে। ইশতেহারে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়নকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, যুদ্ধাপরাধের বিচার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্থানীয় সরকার কাঠামো ও নারী উন্নয়ন খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে থাকছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, দারিদ্র্য বিমোচন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি। রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগের কথাও থাকবে ইশতেহারে। ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং মাথাপিছু আয় ১৫শ’ ডলারে উন্নীত করার অঙ্গীকার থাকবে। দারিদ্র্যের হার ১৩ ভাগে কমিয়ে আনা এবং কম খরচে রেল ভ্রমণের ঘোষণাও থাকবে।
এছাড়াও মহাজোট সরকারের আমলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধিসহ সেক্টরভিত্তিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা থাকবে। সেইসাথে দেশ পরিচালনায় বিরোধী দলের অসহযোগিতার চিত্রও তুলে ধরা হবে।