শ্যামলবাংলা ডেস্ক : চলে গেলেন খ্যাতিমান মঞ্চ ও টিভি অভিনয়শিল্পী, নির্দেশক খালেদ খান। ২০ ডিসেম্বর রাত ৮টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খালেদ খানের ভাই রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী জাহিদ মামুন খান তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রখ্যাত এ অভিনেতার মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
১৬ ডিসেম্বর বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদ খানকে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
খালেদ খান ১৯৫৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউএলএবি) তিনি রেজিস্টার হিসেবে কাজ করছেন। প্রশাসনিক ওই দায়িত্বের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছেন মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিষয়ে।
খালেদ খান বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি সুবচনসহ বিভিন্ন মঞ্চনাটকে নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে নাগরিক নাট্যদলের ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’তে কাজ করার মাধ্যমে পদচারণ শুরু স্বনামধন্য এই মঞ্চনায়কের। এরপর ৩০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন ১০টি নাটকের। সর্বশেষ মঞ্চে নাগরিকের ‘রক্ত করবী’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। শেষ নির্দেশনা দেন সুবচনের রূপবতী নাটকটি। আলভি আহমেদের নির্দেশনায় একটি টিভি নাটকে শেষ অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও টিভি পর্দায় কাজ করেছেন ‘সিঁড়িঘর’, ‘এই সব দিনরাত্রি’, ‘তুমি কোন কাননের ফুল’, ‘রূপনগর’, ‘মফস্বল সংবাদ’, ‘ওথেলো এবং ওথেলো’, ‘দমন’, ‘লোহার চুড়ি’র মতো জনপ্রিয় নাটকে।