আজহারুল হক, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সড়কে কলাগাছ ফেলে আ’লীগ দলীয় এমপি প্রার্থীর গাড়ি বহর অবরোধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আ’লীগ ও অবরোধকারীদের মধ্য সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে উপজেলা আ’লীগের কর্মী-সমর্থকরা অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করে। ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার তেজপাতা মার্কেট এলাকা ও পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ওই তান্ডব চলানো হয়। এছাড়াও উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য সচিব আবু সায়েমের বাসায় ব্যাপক ভাংচুর করে আ’লীগ কর্মী-সমর্থকেরা। অপরদিকে রাত ৮টার দিকে জামায়াত নেতা এমরাম উল্লাহ ও পৌর স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক মীর মোজান্মেল হোসেনের বাসায় ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গফরগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দশম জাতীয সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফাহমি গোলন্দাজ তাঁর নির্বাচনি প্রচারনা করতে উপজেলার রাওনা ইউনিয়নে যায়। ফেরার পথে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের তেজপাতা মার্কেট এলাকায় অবরোধকারীরা কলাগাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করলে ফাহমি গোলন্দাজের গাড়ি আটকে পরে। এ ঘটনায় তাঁর সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলার তেজপাতা মার্কেটে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু দোকান পাট ভাঙচুর করে। ফাহমি গোলন্দাজের গাড়ি অবরোধকারীদের বাঁধার মুখে পরার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সমর্থকরা সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে গফরগাঁও পৌর শহরে ব্যাপক তান্ডব চালায়। এসময় আ’লীগের কর্মী-সমর্থকরা পৌর শহরের গোহাটা মোড়, শিবগঞ্জ, রেলগেট, মেক্সি ষ্ট্যান্ড, বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন পাট মহল এলাকায় নির্বিচারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করে। স্থানীয়রা জানায়, আ’লীগ কর্মী-সমর্থকরা কমপক্ষে ৪০ টি দোকান ভাঙচুর ও ১০টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। ক্ষতিগ্রস্থদের বেশিরভাগ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সামনেই তান্ডব চলে। পরে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় (রাত পৌনে ৮টা) পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানো চেষ্টা করছিল।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছাবুর রহমান বলেন, কে বা কারা বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানো চেষ্টা করছে।