বৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

হরতাল-অবরোধে সারের মূল্য বৃদ্ধি : রাজশাহীতে সারের গুদামে তালা

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩ ২:৩৮ অপরাহ্ণ

Rajshahi_District_Map_Bangladesh-61ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : টানা হরতাল-অবরোধে রাজশাহী অঞ্চলে সার সংকট ও বস্তাপ্রতি ১শ৫০ থেকে ২শ টাকা মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলার শিবগঞ্জ সারের গুদামে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ কৃষকরা। বিসিআইসির অনুমোদিত পরিবহন ঠিকাদাররা বাঘাবাড়ি থেকে ট্রাকে করে বিভিন্ন জেলায় সার সরবরাহ করা হয়। কিন্তু যান চলাচল ব্যাহত থাকায় চাহিদা মাফিক সার পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে হরতাল অবরোধের অজুহাতে চাষাবাদের প্রয়োজনীয় পন্যেরও দাম বেড়েছে দ্বিগুন।
কৃষকদের অভিযোগ, জেলার ৯টি উপজেলার মনিটরিং কমিটিরা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর বাফার গুদামের কর্মকর্তারা কোন তথ্য দিতে একমত পোষন করছে না। তথ্যনুযায়ী বোরোর বীজতলা প্রস্তুত, গম, আলু, ভূট্টা ও সরিষা চাষাবাদের সময় সারের সংকটের মুখে পড়ে। সব আয়োজন প্রস্তুতি হঠাৎ থমকে দাঁড়ায়। যার ফলে চলিত রবিশষ্যের আবাদ ব্যাহত হতে পারে। রাজশাহী অঞ্চলের বিসিআইসির বাফার স্টক গুদামে রয়েছে ১৪টি। ঠিকাদাররা জানান লাগাতার হরতাল অবরোধ থাকায় আমরা সার যথাসময়ে পৌছাতে ব্যর্থ। এ বিষয়ে কৃষকরা কৃষি বিভাগকে জানিয়েও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। হরতাল-অবরোধ সাথে তাল মিলিয়ে রাজশাহীর সর্বত্র বস্তা প্রতি সারের দাম ১শ ৫০-২শ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবং তার সাথে কিটনাশকের দামও নাগালের বাইরে। বাঘা উপজেলার কৃষক আলমগীর বলের ৮’শত টাকা ইউরিয়া এখন ১ হাজার ৫০ টাকা। পৌরসভার বিসিআইসির সার ডিলার প্রনব সাহা, তালন্দ বাজারের ডিলার বাবু ও কাশিম বাজারের ডিলার আকতার আলী জানান, সম্প্রতি জেলা সার-বীজ মনিটরিং সহযোগীতায় কিছু সার পেয়েছেন তা চাহিদানুযায়ী খুবই অপ্রতুল। কিন্তু সেগুলোর মূল্য চড়া। অথচ ডিলার কর্তৃক সারের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন খুচরা ব্যবসায়ী ও বীজ ডিলার বেশি নিলে তাদের করার কিছুই নেই। এ বিষয়ে রাজশাহীর বাফার গুদামের ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক কোন তথ্য দিতে রাজি নন। তবে তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আদেশ বলে জানান। একই কথা বিসিআইসির কর্মাশিয়াল ম্যানেজার নজরুল ইসলামও একমত প্রকাশ করেন। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তা দাবি করেন রাজশাহীতে সারের সংকট নেই। জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটি যমুনা সার কারখানা (তারাকান্দি) থেকে প্রায় ৪ হাজার মে. টনেরও বেশি সার ডিলারদের সরবরাহ করা হয়েছে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচারক মোঃ নুরুল আমিন জানান, রাজশাহীতে ডিসেম্বরে বরাদ্দ ৮ হাজার ৫শ ৭১ মে. টন সারের অর্ধেক ডিলাদের সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু বাফার গুদাম থেকে কোন সার সরবরাহ করা হয়নি। দুর্যোগময় সময়ের জন্য ইউরিয়া ১হাজার ৬শ ৬৭ মেঃটন, টি,এস,পি ৭শ ৯৫ ও ৭শ ৮০ ডি,এস,পি সার মজুদ আছে। এদিকে একই কারণ দর্শিয়ে ডিজেলের দামও বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত টাকা না দিতে পারলে সার, বীজ, কিটনাশক ও ডিজেলের ঘাটতি আছে বলে জানান।
হরতাল-অবরোধ ও ক্ষমতার লড়াইয়ে দেশ ও জাতি যেন জিম্মি হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই চাষাবাদে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এভাবে চলতে থাকলে চাষীরা চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, সার, বীজ, কীটনাশকের বাড়তি মূল্য যদি কোন ডিলার নেয় এবং তার প্রমান পেলে তাৎক্ষনিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!