বৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

রাণীনগরের আতাইকুলা বধ্যভূমিতে ৪২ বছরেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩ ৬:২৬ অপরাহ্ণ

Raninagar Pictur.1রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরের আতাইকুলা গ্রামের  মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী একমাত্র ঐতিহাসিক বধ্যভূমিতে স্বাধীনতার ৪২ বছর পার হলেও আজও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত ৫২ জন শহীদদের পরিবার পায়নি কোন সাহায্য সহায়তা, পায়নি কোন বিধবা ভাতা কিংবা বয়স্ক ভাতা। বাড়ীর কর্তাদের হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে এই সব শহীদ যোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।

Shamol Bangla Ads

আজ অবধি অনেকেই মানুষের বাড়ী বাড়ী ঝি এর কাজ করছেন। বধ্যভূমি শহীদ পরিবারের সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগে কোন রকমে ইটের প্রাচীর দিয়ে  ঘিরে রেখেছে মাত্র। শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে এলাকাবাসীদেরও দাবী শহীদ পরিবারের এই বধ্যভূমি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের। ওই দিনের নারকীয় ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েও বেঁচে যাওয়া আতাইকুলা গ্রামের প্রদ্যুত চন্দ্র পাল, সাধন চন্দ্র পাল ও নিখিল চন্দ্র পাল ওই দিনের করুন হত্যাযজ্ঞের কাহিনী অশ্র“সিক্ত নয়নে বর্ণনা করে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল রোজ রবিবার সকাল ১০টায় ছোট যমুনা নদী পার হয়ে আসে একদল হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধারা আছে সন্দহে ওই গ্রামে।

প্রথমে গ্রামটিকে ঘিরে ফেলে প্রতিটি বাড়ী থেকে নগদ টাকা স্বর্নলংকাসহ বাড়ীর নারী পুরুষকে ধরে নিয়ে ওই গ্রামের বলরাম চন্দ্রের বাড়ীর উঠানে নিয়ে যায়। সেখানে পুরুষদের উঠানে সারিবদ্ধ করে দাঁড়িয়ে রাখে আর উঠানের পাশেই নারীদের এক ঘরে রাখে। একের পর এক নারীদের উপরে চলে পাশবিক নির্যাতন। পরে সারিবদ্ধ পুরুষদের উপরে চলে ব্রাশ ফায়ার। মুহুর্তের মধ্যেই ওই গ্রামের ৫২ জন শহীদ হন। পরে তারা বিভিন্ন বাড়ীতে লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। শহীদদের মধ্য থেকে গুলিবিদ্ধ হয়েও কোন রকমে বেঁচে যায় প্রদ্যুত পাল, সাধন পাল ও নিখিল পাল। প্রদ্যুত পাল জানান, ওই দিন তার বাবা, কাকা জ্যাঠা এবং গ্রামের লোকজনের সাথে তাকেও সারিবদ্ধ করে চালায় ব্রাশ ফায়ার। মুহুর্তের মধ্যে প্রাণ হারায় ৫২ জন লোক। হানাদার বাহিনীরা চলে যাবার পর রক্তাক্ত ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাশের মধ্য থেকে কোন রকমে বেঁচে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সে তার বাড়ীতে যায়। তিনি জানান সবাইকে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়েছি। স্বাধীনতার ৪২ বছর পার হলেও কোন সরকারের আমলে কোন শহীদ পরিবার এখনও কোন সাহায্য সহায়তা পায়নি। কোন স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে উঠেনি এই বধ্যভূমিতে।

Shamol Bangla Ads

শাহীন মনোয়ারা হক এমপি ১৯৯৬ সালে নিজ উদ্যোগে কিছু অনুদান দিয়ে কোন রকমে ফলকে শহীদদের নাম লিপিবদ্ধ করলেও আর কোন কাজ হয়নি। বধ্যভূমিটি পরে আছে অযতেœ অবহেলায়। সাধন পাল জানান, ৩ দিন ৫২টি লাশ পরে থাকার পর পাশের গ্রামের লোকজনরা কোন রকমে ঘটনাস্থলের পাশেই মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে। নিখিল পাল জানান, যুদ্ধে বেঁচে গেলেও আজও তাদের ভাগ্যের কোন উন্নতি হয়নি। কোন রকমে হারিয়ে যাওয়া পাল স¤প্রদায়ের মাটির ব্যবসা করে বেঁচে আছে তারা। বিধবা রেনু বালা, ফেন্তু বালা ও সবেজু বালা তাদের সেই দিনের করুন কাহিনীর বর্ণনা দিতে গিয়ে তারা বলেন, স্বামীকে হারিয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে অনেক দুঃখ কষ্টে, অন্যের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করে এখনও বেঁচে আছেন তারা। দুঃখের সাথে তারা আরও বলেন ঘটনার ৪২ বছর পার হলেও এখনও কোন সরকার তাদের কোন সাহায্য সহায়তা করেনি। তাদের ভাগ্যে জোটেনি বিধবা ভাতা বা বয়স্ক ভাতার কোন কার্ড। আর কত বয়স হলে তারা বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতা পাবেন। এলাকাবাসীদের ও শহীদ পরিবারের দাবী, অবিলম্বে সরকারি ভাবে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হোক।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!