কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি, কেশবপুরের এসএসজি বরণডালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বর্তমান তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ওই বিদ্যালয়ের ৯ টি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকলেও শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিরি অভ্যন্তরিন কোন্দলের কারণে গত ১ বছরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ফলে ১০ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। এলাকাবাসীর অভিযোগ বিদ্যালয়টির উপরে ফিটফাট কিন্তু এর ভেতরে সদর ঘাট।
জানাগেছে, উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের রবণডালি গ্রামে ১৯৬৭ সালে এসএসজি বরণডালী মাধ্যমিক বিল্যালয়টি স্থাপিত হয় । সেই থেকে প্রতি বছর শিক্ষর্থীরা সাফল্যের সাধে জে এস সি ও এস এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মরহুম এএসএইচকে সাদেক ১৯৯৬ সালে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহন করার পর ওই বিদ্যালয়টির দ্বিতল ভবন নির্মান করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের ফাণ্ডে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় ভবনটি আর পূণসংস্কার করা হয়নি। এদিকে, গত এক বছর আগে বিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষকের পদ শূন্য হলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, অভিভাবক, ও ম্যানেজিং কমিটি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এমতবস্থায় বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি সাধারণ শাখার বংলা, সমাজ বিজ্ঞান, ও ভোকেশনাল বিভাগের বাংলা, কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিলেও তাদের যোগদান নিয়ে শিক্ষক অভিভাবকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানে আরও ৫টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির বলেন, বিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠটি বছরের কমপক্ষে তিনমাস পানিবন্দি অবস্থায় থাকে। প্রতি বছর বিজয় দিবসে মাঠটি জলাবদ্ধ থাকায় শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রোদ্ধা জানানো সম্ভব হয় না। এ ছাড়া দোতলা ভবনটির একটি জানালারও কাঁচ নেই। ল্যট্রিনের ভেতর পানি জমে থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। একমাত্র টিউবয়েলটি অকেজো হয়ে পড়ায় ছাত্রছাত্রীদের সিমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানে বিদ্যালয়ের ফাণ্ডে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। যে কারনে সংস্কার করা যাচ্ছে না।