রামগঞ্জ (লক্ষীপুর)প্রতিনিধি : রামগঞ্জ উপজেলা পাক-হানাদার মুক্ত দিবস ১৪ ডিসেম্বর হলেও বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর রাজাকার মুক্ত দিবস।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় পর্যুদস্ত পাক হানাদার বাহিনী রামগঞ্জ থানা ত্যাগ করে, তৎকালীন ল²ীপুর মহকুমা শহর হয়ে নোয়াখালী জেলা মাইজদী শহর অভিমুখে চলে যায়। এ দিন পাক হানাদারের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনীদেরকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের চারদিক থেকে ঘিরে জিম্মি করে তাদের আস্তানায় আক্রমন চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা থানা এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ডে জয় বাংলাদেশ শ্লোগান তোলে স্বাধীন বাংলাদেশে লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫দিন ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধারা রামগঞ্জ শহরে জিম্মি হয়ে পড়া রাজাকারদের সাথে তুমুল যুদ্ধ করে। এ দিন হানাদারের দোসরা এক এক করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পন করার ফলে রামগঞ্জ শহর রাজাকার মুক্ত হয়।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ আহম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার উল্যাহ পাটওয়ারী ও রামগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মনির হোসেন বাবুল জানান, ১৯৭১ সালে তৎকালীন সুবেদার তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে রামগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা ছিল তৎপর। এক পর্যায়ে ১৬ ডিসেম্বর দেশ পাক হানাদার মুক্ত ঘোষণা হলেও রামগঞ্জ থানা শহর ছিল হানাদার দোসর রাজাকারদের দখলে। অবশেষে ১৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে স্থানীয় রাজাকাররা এক এক করে আত্মসর্মপন করলে রামগঞ্জ মুক্ত হয়। আত্মসমর্পনকৃত রাজাকারদের মধ্যে বেশ কয়েজনকে মুক্তিযোদ্ধারা লামচরের কৈল্লার খামারে এনে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়।