বুধবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

লাগাতার অবরোধ-হরতালে নওগাঁর পাইকারী সবজী বাজারগুলো ক্রেতাশূন্য : ৮ হাজার হেক্টর জমির সবজী অবিক্রিত

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ

Mohadevpur Picture_18-12-2013এম.এ ছালাম, মহাদেবপুর (নওগাঁ) : উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডারখ্যাত নওগাঁর সবজি বাজারে ধস নেমেছে লাগাতার অবরোধ-হরতালের কারণে। দেশব্যাপী চলা লাগাতার অবরোধ-হরতালের কবলে পড়ে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ নওগাঁ জেলার শীতকালীন সবজী চাষীরা এবার তাদের উৎপাদনকৃত সবজি সময়মত বিক্রি করতে না পেরে পথে বসতে চলেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এসএম নূরুজ্জামান মন্ডল জানান, চলতি শীত মৌসুমে জেলার ১১ উপজেলায় ৮ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মহাদেবপুরে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে নানান শাকসবজির চাষ হয়েছে।
সূত্রমতে, মহাদেবপুরে ৯শ ৩০, বদলগাছীতে ৭শ ৫০, নিয়ামতপুরে ৬শ ৯০, পোরশায় ৪শ ৮০, মান্দায় ৭শ ৮০, আত্রাইয়ে ৮শ ৫০, রাণীনগর ৭শ ৫০, ধামইরহাটে ৮শ ৫০, পতœীতলায় ৮শ, সাপাহারে ৫শ ৩০ এবং নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭শ ৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করেছে চাষীরা। চাষকৃত শাকসবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, গাজর, টমেটো, শিম, লাউ, পালংশাক ও লালশাকসহ শীতকালীন অন্যান্য শাকসবজি। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এ জেলায় উৎপাদিত ওইসব শাকসবজি ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবছরও বিক্রির পরিকল্পনা নেয়। এতে যেমন পাইকাররা লাভবান হয় তেমনি কৃষকরাও ন্যায্যমূল্য পেত তাদের উৎপাদিত শাকসবজির। কিন্তু লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে পাইকারী সবজি ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসা লোকসানের ভয়ে বন্ধ রেখেছে। ফলে জেলার হাটবাজারগুলো পাইকার শূন্য হয়ে পড়েছে। পাইকার না থাকায় সবজি চাষীরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি বিক্রি করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
মহাদেবপুরের কর্ণপুর গ্রামের সবজি চাষী সুশীল মন্ডল, শ্রীপুর গ্রামের হাসান আলী, উত্তরগ্রামের মতিউর রহমান ও ফাজিলপুর গ্রামের আজাদ রহমান জানায়, অবরোধের কারণে হাটবাজারগুলোতে সবজির পাইকারী ক্রেতারা না আসায় তাদের উৎপাদিত সবজি এখন পানির দরেও বিক্রি করা যাচ্ছেনা। ফলে এসব উপজেলার ৮ হাজার হেক্টরের অধিক পরিমাণ জমির অবিক্রিত শাকসবজি নিয়ে শত শত কৃষক বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!