শ্যামলবাংলা ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক ওই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার, কাইয়ুম মিঞা ও মীর মো. নুরে আলম লিমন। এদের মধ্যে রাজন তালুকদার ও নুরে আলম লিমন পলাতক রয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হচ্ছে গোলাম মোস্তফা, এএইচএম কিবরিয়া, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আজিজুর রহমান আজিজ, ওবায়দুল কাদের তাহসিন, আলাউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ইমরান, আল-আমিন শেখ, কামরুল হাসান, মনিরুল হক পাভেল ও মোশারফ হোসেন। এদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা ও এএইচএম কিবরিয়া ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছে।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শাঁখারীবাজারের দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে। ওইদিন রাতেই অজ্ঞাতনামা ২৫ জনের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করে পুলিশ। তারা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম শাকিল, এমদাদুল হক এমদাদ, রাশেদুজ্জামান শাওন ও মাহফুজুর রহমান নাহিদ বিশ্বজিৎকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেয়।
হত্যার ২ মাস ২৪ দিন পর ২১ জনকে অভিযুক্ত করে ৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম। ওই মামলায় ২১ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। বিচারের সময় অভিযোগপত্রভুক্ত ৩৯ জনের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার-৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক ১৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।