বুধবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

পলাশে মহা ঝামেলায় মহাজোট প্রার্থী

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩ ৮:০৫ অপরাহ্ণ
পলাশে মহা ঝামেলায় মহাজোট প্রার্থী

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদী ২(পলাশ) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের গোছানো মাঠে ভাগ বসিয়েছে জাসদ ইনুর প্রার্থী । তাই মহাজোটের প্রার্থীর সংগে নেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মহাজোটের অন্যতম শরিক দলের এ প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেলেও ভোটের মাঠে নৌকার বৈচা রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের হাতে। ফলে মহাঝামেলায় মহাজোট প্রার্থী। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের দখলে থাকা এই আসনটি ধওে রাখা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের আসন ভাগাভাগির সমীকরণে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বিএনপি।দীর্ঘ ৫বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নরসিংদীর পলাশ আসনটি আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলেও বিরোধী দল বিএনপি ছিল কোণঠাসা। দফায় দফায় বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ এ যোগ দেয়। ফলে আগামী নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু জোটের আসন ভাগাভাগির সমীকরণে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা.আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের মনোনয়ন বাতিল কওে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) জায়েদুল কবিরকে মনোনয়ন দেয়ায় বিভক্ত হয়ে পড়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।ক্ষুদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেও অভিযোগ, জায়েদুল কবির জনবিচ্ছিন্ন নেতা। কেন্দ্রেও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা এমপি দিলীপের ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান পোটনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্ঝম সংসদ নির্বাচন থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর টানা বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ড.আবদুল মঈন খানের দখলে ছিল এ আসনটি। ২০০৮ সালে নৌকার গণজোয়ারে আসনটি হারায় বিএনপি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পায় বর্তমান সংসদ সদস্য পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা.আনোয়ারলি আশরাফ খান দিলীপ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ কওে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেয়া হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) জেলা সভাপতি জায়েদুল কবিরকে । কেন্দ্র থেকে ষ্থানীয় এমপি নাম পরিবর্তন কওে মহাজেটের অন্যতম শরিক দল জাসদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এ খবর আওয়ামী লীগের দুর্গে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ  হয়ে ওঠেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বর্তমান সংসদ সদস্যেও মনোনয়ন বহাল রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা উপজেলায় ঘোড়াশালে সড়কপথ ও রেলপথ অবরোধ করে। একই সংগে মহাজোটের প্রার্থী জায়েদুল কবিরকে পলাশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। কিন্তু কেন্দ্র তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে শেষ মুহুর্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার কওে নেন এমপি ডা, আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জায়েদুল কবিরকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়। পরিস্থিতি ঘোলা দেখে শেষ মুহুর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন এমপি দিলীপের ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান পোটন। পোটনকে দোয়াত কলম প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অযৌক্তিক দাবি করে মহাজোটের প্রার্থী জায়েদুল কবিরকে পলাশে অবাঞ্ছিত ঘোষণঅ করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্য দিলীপের ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান পোটনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী পোটন খানের সঙ্গে যোগ দেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
উপজেলা ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল হক তুষার বলেন, জায়েদুল কবির কোনো দিন পলাশে  মহাজোটের এমনকি নিজ দল জাসদের কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে এমন নজির নেই। শুধু দলীয় কারণে তার মতো এমন জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতাকে মহাজোটের টিকিট দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা।
এই ব্যাপাওে জানতে চাইলে ঘোড়াশালের পেীর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফুল হক বলেন, যে ব্যক্তি পলাশের আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে ইনুর প্রার্থীকে এ উপজেলায় অনুপ্রবেশ করিয়ে দল ভুল করেছে। জন্ম থেকে দেয়া নৌকার প্রতীকে ভোট এবার দিতে পারব না – এটা ভাবতে কষ্ট
হচ্ছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপের ভাই কামরুল আশরাফ খান পোটন বলেন, আমার ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল করে দল ওনার প্রতি অবিচার করেছে। তাই ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছি। বিজয় ছিনিয়ে প্রমাণ করতে চাই, এটা কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
সংসদ সদস্য ডা.আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ বলেন, দীর্ঘদিন পলাশের আসনটি বিএনপি দখলে ছিল। সেখানে আমি নৌকার জোয়ার তুলেছি। আগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা নাজুক ছিল। বর্তমানে প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করে দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী করেছি। হঠাৎ কেন্দ্রেও এ সিদ্ধান্তে দলীয় নেতাকর্মীরা মর্মাহত হয়েছে। মহাজোট প্রার্থীর বিজয় নিয়ে এমপি বলেন, একক নির্বাচনে হলে ভিন্ন কথা। তবে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে মহাজোটের মনোনীত জাসদ প্রার্থীর বিজয়ী হওয়া কঠিন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!