ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডামাডোলের কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আসছে অস্ত্র। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে অস্ত্র এনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চার-পাঁচ মাস ধরে সীমান্তের এপার-ওপারে গড়ে উঠেছে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
জানা গেছে গত সাত-আট মাস ধরে এ জেলার সীমান্ত দিয়ে পানির স্রোতের মতো বোতল জাত তরল মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল ও অবৈধ ভাবে গরু আসচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের কেউ কেউ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। রাজশাহীর চাপাই নবাবগঞ্জের পরই ঠাকুরগাঁও এখন তাদের নিরাপদ রুট হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্মাই,মন্ডুমালা,বেউরঝাড়ি এবং রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল ও ধর্মগড় চোরা কারবারীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অভিযোগ ওঠেছে এই এলাকার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতা কর্মীদের যোগসাজসে চোরাচালানীরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। বিজিবি ও বিএসএফের চোখ ফাঁকিদিয়ে হরদম সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাচ্ছে তারা। তবে স¤প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিএসএফের টহল বাড়ায় চোরাকারবারীরা ধরা পড়চ্ছে। গত সাত দিনে চার জনকে আটক করে বিএসএফ। তারা হলেন বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গীর জাহাঙ্গীর আলম (২২) ,শহিদুল ইসলাম (২৪) ও সাদেকুল ইসলাম (২৫) এবং হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের মরাধার মন্নাটলি গ্রামের কাজিরুল ইসলাম কাদের (২৩) । সূত্র জানায় বালিয়াডাঙ্গীর ওপারে ভারতের বিহার প্রদেশ নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব অঞ্চলের চোরা কারবারীদের সঙ্গে এই জেলার চোরাকারবারীদের এখন নিবির সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে। প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের আসকারায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অসৎ সদস্যদের সেল্টারে ফেন্সিডিলের পরই লাভ জনক ব্যবসা হিসেবে ওপার থেকে অস্ত্র আনচ্ছে তারা। দুই-তিন হাত বদল হয়ে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাচ্ছে অবৈধ ভাবে আসা অস্ত্র। এসব অস্ত্রের খরিদদার চাঁদাবাজ,দাগী সন্ত্রাসী ও কথিত রাজনৈতিক কর্মী বলে জানা গেছে।
সীমান্ত পথে অস্ত্র আসা প্রসঙ্গে বালিয়াডাঙ্গী থানা ওসি রুহুল কুদ্দুসের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,তার কাছে এ ধরণের খবর নেই । তবে বিজিবি সীমান্তে কড়া নজর দিলে যে কোন ধরনের অপরাধ দমন করা সম্ভব।
প্রকান্তরে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ঠাকুরগাঁও-৩০ ব্যাটালিয়নের অপর্স অফিসার মেজর আলমগীর জানান,সীমান্ত প্রহরী (বিজিবি জওয়ান) দের অপরাধ দমনে এলার্ট করা হয়েছে।