মঙ্গলবার , ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বন বিভাগ ও এলজিইডি বিভাগের রশি টানা টানি কেশবপুরে বৃক্ষনিধন অব্যাহত

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৭, ২০১৩ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
বন বিভাগ ও এলজিইডি বিভাগের রশি টানা টানি কেশবপুরে বৃক্ষনিধন অব্যাহত

কেশবপুর (যশোর)  প্রতিনিধি : কেশবপুরে হরতাল-অবরোধের নামে সরকারি সড়কের পাশ থেকে বৃক্ষ নিধন চলছেই। মঙ্গলবার ভোর রাতে আবারও মূলগ্রাম ও  ফতেপুর সড়কের গাছকেটে ব্যারিকেট দেওয়া হয়েছে। একের পর এক নির্বিচারে গাছ নিধনযজ্ঞ অব্যাহত থাকলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে নিরব। স¤প্রতি শত শত বৃক্ষকেটে  নিধন করা হলেও একটিও মামলা হয়নি। বনবিভাগ বলছে, সড়ক গুলি এলজিইডি বিভাগের হওয়ায় তাদের কিছুই করার নেই। আর এলজিইডি বিভাগ বলছে, সড়ক তাদের হলেও গাছ বিভিন্ন সংস্থার। যে কারনে তারা মামলা দিতে পারছে না।
সরজমিন এলাকা ঘুরে জানাগেছে, বিরোধী দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে কেশবপুর-বকুলতলা, কেশবপুর-কাটাখালি, কেশবপুর-চিংড়া, কেশবপুর-সাগরদাঁড়ি, কেশবপুর-ফতেপুর ও যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশ থেকে নানা প্রজাতির শত শত বৃক্ষ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে আসছে। কেশবপুর বকুলতলা সড়কের দু’পাশ থেকে সম্প্রতি হরতাল-অবরোধে প্রায় শতাধিক, যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের মধ্যকুল এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক কেশবপুর-কাটাখালি সড়কের প্রায় অর্ধশতাধিক, কেশবপুর-চিংড়া সড়ক থেকে ২০টি, মধুসড়কের পাশ থেকে অর্ধশত নানা প্রজাতির বৃক্ষ রাতের আধারে কেটে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে মূলগ্রাম সড়কের নেংটাখালির দক্ষিন পাশ থেকে বড় বড় চারটি গাছ, কেশবপুর-ফতেপুর সড়কের শ্রীফলা বজারে দুটি মেহগনি গাছ কেটে ব্যারিকেট দেয়া হয়েছে। এক শ্রেণির কাঠ চোর সিণ্ডিকেট এ ভাবে একের পর এক বিভিন্ন সড়কের পাশ থেকে বৃক্ষনিধনযজ্ঞ অব্যাহত রাখলেও এখন পর্যন্ত একটিও মামলা না হওয়ায় বৃক্ষনিধনকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে এলাকা বাসীর অভিযোগ।
কেশবপুর বন বিভাগ কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, কেশবপুর-চিংড়া সড়কের ভালুকঘর এলাকা থেকে চারটি এবং যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের মধ্যকুল এলাকা থেকে দুাট বাবলা গাছ উদ্ধার করেছে। তিনি আরও বলেন, সড়ক গুলো এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের হওয়ায় তাদের কিছুই করার নেই। আর এ কারণে তারা মামলা করতেও পারছে না। বন কর্মকর্তা আরও  জানান, তারা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে করনীয় কি তা সিদ্ধান্ত নেবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বলেন, কেশবপুর বকুলতলা সড়ক থেকে ৩৯টি বৃক্ষ কেটে ফেলা হয়েছে। অন্যান্য সড়ক থেকেও গাছ কাটার কথা উলে­খ করে তিনি আরও বলেন সড়ক গুলো তাদের হলেও সড়কের পাশে লাগানো গাছ বিভিন্ন সংস্থার। যে কারনে তাদের পক্ষেও কোন মামলা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম বলেন, বৃক্ষনিধনকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লষ্ট বিভাগকে মামলা দেওয়ার নির্দেষ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!