তাপস চন্দ্র সরকার, চট্টগ্রাম উত্তর : কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির দ্বিতীয় কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক সহ অধিকাংশ পদে বিজয় অর্জন করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী (আওয়ামীপন্থী) শিক্ষকদের প্যানেল নীল দল। তবে সভাপতি নির্বাচিত হেেয়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুলাহ। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নীল দল সমর্থিত প্রার্থী ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান । অপরদিকে স্বাধীনতা, ঐতিহ্য ও জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী (বিএনপি-জামায়াতপন্থী) শিক্ষকদের প্যানেল সাদা দল দুইটি পদে বিজয় অর্জন করেছে। ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নীল দলের প্রার্থীদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রশিদুল ইসলাম শেখ ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আইনুল হক, কোষাধ্য পদে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বপন চন্দ্র মজুমদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের প্রভাষক মোঃ আব্দুলাহ আল মাহবুব এবং সদস্য পদে বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মিহির লাল ভৌমিক, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোঃ আব্দুল মাজেদ পাটোয়ারী, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক জে এম আদিব সালমান চৌধুরী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বদরুন্নাহার এবং মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মঈনুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
সাদা দলের প্রার্থীদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মশিউর রহমান এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজী (আইসিটি) বিভাগের প্রভাষক মোঃ ইমরান হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।তবে সাধারণ সম্পাদক পদে তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে মাত্র তিন ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন।স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের অবতারণা ঘটে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। টানা হরতাল-অবরোধের মধ্যেও মোট ১৩৩ জন ভোটারের মধ্যে ১২১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।ভোটগণনাশেষে বিকাল ৫টার দিকে শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. এম জুলফিকার আলী নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের দিন ভোট গণনাশেষে প্রাথমিক ফলাফল জানানো হলেও ১৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এম জুলফিকার আলী বলেন, গঠণতন্ত্র অনুযায়ী যথাসময়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট কমিশনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ আব্দুলাহ বলেন, আমি শিক্ষকদের নিকট কৃতজ্ঞ। শিক্ষকদের কল্যাণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের ল্েয আমি সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করব।
উলেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান কার্যকর পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে। এর মধ্যেই নবনির্বাচিত পরিষদের কাছে দায়িত্ব ছেড়ে দেবে বর্তমান পরিষদ।