এম. এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : রাজনৈতিক অস্থিরতায় ধ্বস নেমেছে নীলফামারীর অন্যতম পুরনো কাপড়ের বাজার সৈয়দপুরে। ১৮ দলীয় জোটের দফায় দফায় অবরোধের কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা না আসায় প্রায় ১০ কোটি টাকার পুরনো কাপড় অবিক্রীত রয়েছে। এতে পুরনো কাপড়ের আমদানিকারকরা লোকসানের আশঙ্কায় ভুগছে বলে দাবি করেছেন পুরনো কাপড় ব্যবসায়ীরা।
একাধিক ব্যবসায়ী জানান, শীত মৌসুম শুরুর াাগেই চট্টগ্রাম থেকে চীন, তাইওয়ান, জাপান, থাইল্যান্ডের পুরনো শীতের কাপড় আমদানি করা হয়। ৮০ কেজির জ্যাকেট, কোট, জিন্স প্যান্ট, সোয়েটারসহ বিভিন্ন ধরণের পোশাক পরিবহনসহ অন্যান্য ব্যয় মিলে একটি বেলে খরচ পড়ে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। এভাবে কেবল সৈয়দপুরের ব্যবসায়ীরা ১২ হাজার বেল আমদানি করে মজুদ করেছে। যার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
প্রতি শীত মৌসুমে ঢাকার বিভিন্ন বাজারসহ উত্তরাঞ্চলের জযপুরহাট, নাটোর, পাকশী, নওগাঁ, ঈশ্বরদী, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারীর বিভিন্ন হাটবাজারে পাইকাররা এসে এসব কাপড় নিয়ে যায়। বাসযোগে কিছু সংখ্যক আর বেশির ভাগ পাইকারই আসা-যাওয়া করে রেলপথে। অবরোধের কারণে পাইকাররা আর আসছে না এ বাজারে। এতে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরেও ২০ আমদানিকারকের ১২ হাজার পুরনো কাপড়ের বেল আটকে গেছে। যার দাম প্রায় ১০ কোটি টাকা।
সৈয়দপুর শহরের শামসুল হক রোডের আমদানিকারক আলহাজ্ব শামসুদ্দিন জানান, পুরোদমে শীত শুরু হয়েছে এ অঞ্চলে। তারপরেও কোনো পাইকারের দেখা নেই। অথচ প্রতি মৌসুমের শুরুতেই ৩ হাজার বেল বিক্রি হয়। পরে চাহিদা মেটাতে দুই থেকে তিনবার পুরনো কাপড় আমদানি করতে হয়। অথচ প্রথম মজুদই পড়ে আছে গুদামে। একই দাবি করলেন শেখ সালাহউদ্দিন ও চুন্ন নামের অপর দুই পুরনো কাপড় আমদানিকারক।
তারা আরও জানান, টানা অবরোধ আর হরতালে অর্ডার পেলেও মাল পাঠাতে পারছি না। এতে আমাদের ৬ হাজার বেল কাপড় আটকে আছে। এভাবে ছোটবড় ২০ জন আমদানিকারকের ১২ হাজার বেল রয়েছে অবিক্রীত।
পুরনো কাপড়ের বেল যদি এ মৌসুমে বিক্রি না হয় তাহলে াাগামি শীত মৌসুম আসতে আসতে বেশির ভাগেরই গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। আর এতে পুরোটাই লোকসান গুণতে হবে। তাই রাজনৈতিক সমস্যা নিরসনে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার দাবি জানান পুরনো কাপড় আমদানিকারকরা।