ভোলা প্রতিনিধি : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কাদের মোল্লার ফাসির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ভোলায় ককটেল বিস্ফোরন, যানবাহন ভাঙচুর, টায়ারে আগুন, রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ ও পুলিশের সাথে হরতালকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ শিবির কর্মীকে আটক করে। রবিবার সকাল ৬টায় ভোলা-বরিশাল-লক্ষীপুর ও ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের রাস্তার টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে সড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এছাড়া শহরের চরনোয়াবাদ ও চৌমুহনী এলাকার বেশ কিছু স্থানে টায়ারে আগুন দিয়ে ২টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে পিকেটাররা। অপরদিকে, গুইংগার হাট এলাকায় সকাল থেকে পিকেটাররা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা ৫টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে টহল পুলিশ পিকেটরদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে শনিবার রাতে বোরহানউদ্দিনে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের উত্তর বাজার বাস স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩টি মোটরসাইকেল ও ৩টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধাওয়া করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সকল বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরি চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
এব্যাপারে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ১২ শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বোরহানউদ্দিনে ৬, তজুমদ্দিনে ২, ভোলা সদরে ৩ ও চরফ্যাসন দক্ষিন আইচায় ১ শিবির কর্মীকে আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।