সোমবার , ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ইবিতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ : আহত ২৫

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩ ৪:৩৫ অপরাহ্ণ

iu 2 picকুষ্টিয়া প্রতিনিধি : দলীয় নেতা এবং আদর্শ নিয়ে উষ্কানিমূলক শ্লোগানকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।  সোমবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালরেয়র পক্ষ থেকে বিজয় দিবসের ফুল দেয়া শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম খান, বঙ্গবন্ধু হল সভাপতি সাইফুল, নেতা শাহীন, জনি, রানু এবং ছাত্রদলের সোহাগ, আখিরুল, কাঞ্চন, ফরহাদ, কামরুল, মিজান। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সর্বস্তরের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত বাংলার পাদদেশে ফুল দিয়ে শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে হঠাৎ করেই ইবি শাখা ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগ প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় দলের নেতাকর্মীরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে দলীয় নেতাকর্মী এবং তাদের আদর্শ নিয়ে উষ্কানিমূলক শ্লোগান ও গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে উভয় দলের পক্ষ থেকে ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এক সময় উভয় দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের শক্তি যোগান দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় উভয় দলেই কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এদিকে কৌশল অবলম্বন করে ইবি শাখা ছাত্রশিবির ছাত্রদলকে শেল্টার দিলে তারা আবারও ধাওয়া দিলে ছাত্রলীগ প্রশাসন ভবনের ভেতরে আশ্রয় নেয়। এ সময় উভয় দলের কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় আসাদ নামে এক কর্মচারীকে ছুরিকাঘাত করে বিক্ষুদ্ধরা। পরে বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ফোরামকে নিয়ে প্রশাসন এক জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দলীয় নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তবে যত দ্রুত পেরেছি সমাধান করার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘মহান এই দিনে এ রকম ঘটনা কারই কাম্য নয়। তবে কোথা থেকে কেনো এবং কার মাধ্যমে ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক বারবার এরকম ঘটনা কেনো হচ্ছে এমন এক প্রশ্নে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকার কারণে সবার সঙ্গে তার যোগাযোগের ঘাটতি হয়েছে। ফলে তার কমান্ড অমান্য করার সুযোগ সবাই নিতে চায়। উপাচার্য ক্যাম্পাসে বর্তমান থাকলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
এ সময় শিবির ছাত্রদলকে শেল্টার দিলে ছাত্রলীগকে প্রশাসন ভবনের ভিতরে অবরুদ্ধ করে রাখে উভয় দলের নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!