শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর ; ৪৩তম মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষ্যে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের প্রতি আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এ জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রংতুলির আল্পনায় বিজয়ের স্মারকচিহ্ন ফুটিয়ে তোলা লাল সিরামিক ইটগুলো লাখো মুক্তিকামী বাঙালীকে বরণ করতে যেন অদৃশ্যভাবে জাগ্রত রয়েছে। বিজয় দিবসে এখানেই নামবে লাখো জনতার ঢল। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তার চাঁদরে স্মৃতিসৌধকে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কটি এখন ঝকঝকে পরিস্কার। নতুন আঙ্গিকে সবকিছু সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে ভোরে সবার আগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন মহামান্য রাষ্টপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর বিরোধীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শহীদের প্রতি। শ্রদ্ধা জানাবেন বিদেশি রাষ্টদূতগণও। তারপরই খুলে দেয়া হবে সর্ব সাধারণের জন্য। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জানাতে আসবেন সর্বস্তরের মানুষ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর শুরু হওয়ায় এবরা অন্যরকমভাবেই পালিত হবে দিবসটি। আর এ কারনেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইতিমধ্যে স্মৃতিসৌধসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
ঢাকার পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, প্রায় ২ হাজার পোষাক ও সাদা পোষাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। শুক্রবার থেকে কোন প্রকার দর্শনার্থী ও সাধারন মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যায় ক্রমে কয়েক হাজার র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনী নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।