পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার কোলাদীতে বিএনপি জামায়াত কর্মিদের সঙ্গে আওয়ামীলীগ কর্মিদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এরা সবাই গুলিবিদ্ধ বলে জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক দাবী করেছেন।
পুলিশ ও দলীয় সুত্র জানান, রবিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছিল। তারই অংশ হিসেবে বিকেল সাড়ে ৪ দিকে ভাঁড়ার ইউনিয়নের খয়েরবাগান এলাকা থেকে ১৮ দলের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কোলাদী জামতলা নামক স্থানে পৌঁছালে দূর্বৃত্তরা অতর্কিত মিছিলে গুলি বর্ষন করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। পাবনা জেলা বিএনপি’র দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম দাবী করেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সন্ত্রাসীরা এই গুলি বর্ষন করেছে। তিনি আরও বলেন, গুলিতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কেএম মুসা, ভাঁড়ারা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবুল কাশেম, ৮ নং ওয়ার্ড আহবায়ক শরীফ মেম্বর, ওহিদ, জিয়া, রতন, আওয়াল, শাহজাহান, মজিবর, রাকিব, কাফি, কালাম, আবতাব, ওমর, রমজান, রতন মোলা, ঠান্টুসহ ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতরা সকলেই বিএনপি ও জামাতের নেতা-কর্মি বলে তিনি দাবী করেন। আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ মোশারোফ হোসেন হামলার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, বিএনপি জামায়াত কর্মিরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অপচেষ্টা করছে।
এদিকে আটঘড়িয়া উপজেলার চাঁদভা কলাবাগান এলাকায় ঢাকা থেকে পাবনা গামী সামি এক্সপ্রেস বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। রোববার ভোর ৫ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।