চাদপুর প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলায় আর ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। জেলার পাঁচটি আসনেই একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন। শনিবার তিনি এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারিও করেন। প্রত্যেকের নামে পৃথক পৃথক দশম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ১৯ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে ঘোষণা করিলাম।
জেলার পাঁচ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপিরা হচ্ছেন : চাঁদপুর-১ আসনে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ আসনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, চাঁদপুর-৩ আসনে ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ আসনে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ও চাঁদপুর-৫ আসনে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তাই এ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলায় আর ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবার কথা ছিল ৫ জানুয়ারি রোববার।
উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র চাঁদপুর-১ (কচুয়া) ছাড়া অন্য আসনগুলোতে একাধিক প্রার্থীসহ মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো। আর বাদ বাকি তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলো জাতীয় পার্টির প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র একজন ও জাতীয় পার্টির একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আর অন্য স্বতন্ত্র একজন এবং জাতীয় পার্টির দুজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে জেলার পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রইলো না।