শাহআলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : যমুনা সেতুর উপর নির্মিত বঙ্গসেতুর নিচে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় হুমকীর মুখে বঙ্গবন্ধ সেতু। এভাবে অব্যহত বালু উত্তোলন করতে থাকলে যেকোন মুহুর্তে বিশাল এ সেতুটি সমূহ ক্ষতির ল আশংকা করেছে স্থানীয়রা।
রবিবার সকালে সেতুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর নিচে একাধিক বলগেট ড্রেজার বসিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে স্থানীয় গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এর নের্তৃত্বে একদল বালু খেকো বছরের পর বছর বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সাংবাদিকদের দেখে ড্রেজার শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করা বন্ধ করে দেয়। তারা জানান, প্রতি বৎসর লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে বালু উত্তোলন করে থাকি। যমুনা নদীতে বালু উত্তোলনের জন্য সেতু কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের টাকা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে বলগেট প্রতি ১ হাজার টাকা দিতে হয়। এছাড়াও স্থানীয় পুলিশ,ভূমি কর্মকর্তাসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করি বলে কেউ বাধা দেয় না।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার জানান, দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের নিজের নামে কোন বালু মহাল নেই,নেই কোন লাইসেন্স,নেই কোন ড্রেজার। আমার নামে ভিট করা মহালের দোহাই দিয়ে গায়ের জোরে বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচ থেকে বলগেট বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালাচ্ছে। কেউ অবৈধ উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। আর প্রতিবাদ না করার কারণে বছরের পর বছর বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। হুমকির মুখে পড়েছে বঙ্গবন্ধ সেতু। এব্যপারে দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বালু ব্যবসার সাথে জড়িত নই। আমার নাম ব্যবহার করে কেউ বালু ব্যবসা করলে সেজন্য আমি দায়ী না। বলগেট প্রতি টাকা নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। যমুনা নদীর নিচে যাদের জমি তারাই প্রতি বলগেট থেকে টাকা নিচ্ছে। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু যমুনা নদীটি টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। টাঙ্গাইল থেকে ধাওয়া খেয়ে ড্রেজার নিয়ে সিরাজগঞ্জ সীমান্তে যায় আবার সিরাজগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইলের সীমান্তে আসে। এভাবেই বছরের পর বছর তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে যমুনা সেতু কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।