তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদে রাজশাহীর তানোরে ৯ ডিসেম্বর সোমবার হরতালের ডাক দেয়া হলেও মাঠে দাঁড়াতে পারে নি উপজেলা ছাত্রদল। তাদের নিজ দলের নেতাকর্মীদের তোপের মূখে মাঠ ছেড়ে পালাতে তারা বাধ্য হন। এসময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। একারণে ছাত্রদলের ডাকা সোমবারের আধাবেলা হরতাল তানোরে পালিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, তানোর বিএনপি’র সভাপতি এমরান মোল্লা সমর্থকদের বয়কট করে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিনকে জানিয়ে তানোরে আধাবেলা হরতালের ডাক দেন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল মালেক। এঘটনা নিয়ে তানোর বিএনপি ও যুবদলসহ অঙ্গ-সংগঠণের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার ঝড় উঠে। এঅবস্থায় উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তার ডাকা হরতাল পালনের জন্য তার অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে গতকাল সোমবার সকালে মাঠে নামলে নিজ দলের নেতাকর্মীদের তোপের মূখে তারা হরতালের মাঠ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এঘটনায় গতকাল সোমবার ছাত্রদলের ডাকা হরতাল পালিত হয়নি। তবে, এমরান সমর্থক নেতাকর্মীরা ঘটনার আধাঘন্টা পরে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। অবরোধ চলাকালে রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। বেলা ১২টার দিকে বিএনপি ও জামায়ত পৃথকভাবে অবরোধের পক্ষে মিছিল বের করেন।
মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে উপজেলা ডাকবাংলো চত্বরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন তানোর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমরান আলী মোল্লা, সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মোল্লা, চেয়ারম্যান মোজম্মেল হক খান, তানোর পৌর বিএনপির সভাপতি বিশ্বনাথ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী, তানোর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, তানোর থানা জামায়াতের আমির সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ সৈয়দ প্রমুখ।