ঝালকাঠি সংবাদদাতা : ঝালকাঠিতে সরকারিভাবে দেয়া পাওয়ার টিলার বরাদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের যোগেস্বর এলএফএস ক্লাবের কৃষকরা। ৮ডিসেম্বর রবিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের কৃষি অফিসে এসে বঞ্চিত কৃষকরা এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষুব্ধ কৃষকরা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার চিম্ময় মিত্রর তার শাস্তি দাবী করেন ও তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) আ. সালাম, জেলা আ’লীগের সহ-সাধারন সম্পাদক মোবারক হোসেন মলিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক তরুন কর্মকার ও যুবলীগ নেতা অসিম দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনএ আনে। সদর উপজেলার গাবখান ধাঁনসিড়ি ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডের যোগেস্বর গ্রামের এলএফএস ক্লাবের সভাপতি মো. শামসুল হক, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আল মামুন ও বৈদারাপুর দাখিল মাদ্রসার সভাপতি মোঃ আঃ রহিম তালুকদার বর্তমানকে জানান, ৪নং ওয়ার্ডের বৈদারাপুর গ্রামে স্থাপিত এলএফএস ক্লাবের অধিনে পাওয়ার টিলারটি দেয়ার জন্য চুড়ান্ত হলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার চিম্ময় মিত্র ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে ৭নং ওয়ার্ডে এলএফএস ক্লাবের নামে বরাদ্ধ দেন। এতে এলাকার গরীব কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দাবী সম্বলিত একটি লিখিত আবেদন করলে তিনি কৃষকদের রবিবার উপজেলা পরিষদে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী উপজেলায় উপস্থিত হয়ে কৃষকরা উপজেলা কৃষি কর্মকতা চিন্ময় রায়ের কাছে প্রতিশ্রুত পাওয়ার টিলারটি ৪নং ওয়ার্ডে না দিয়ে রবিশস্য চাষ বিহীন এলাকায় দেয়ার কারন জানতে চান। এসময় কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় রায় তাদের গালাগাল করে রুম থেকে বের করে দেয়। তাদের কে র্যাব পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে তারিয়ে দেয়া হয়। এরপর তারা অফিসের সামনে কৃষকরা বিক্ষোভ করে তার শাস্তি দাবী করেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপসহাকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের সাথে জানতে চাইলে তিনি জানান, দেউলকাঠি এলএফএস ক্লাবের ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসাবে ও উর্ধতন মহলের সুপারিশে পাওয়ার টিলার সরবারহ করা হয়েছে। তবে চলতি বছর ২শ কেজি গমের বীজ ও ২৪ কেজি সরিষা বীজ নিয়ে প্রদর্শনী খামার বা রবিশষ্য চাষাবাদ করায় আমি যোগেশ্বর এলএফএস ক্লাব কে পাওয়ার ট্রিলার সরবাহের সুপারিশ করেছিলাম। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার চিম্ময় মিত্র জানান, যোগেশ্বর এলএফএস ক্লাবের কৃষকদের পাওয়ার টিলার বরাদ্দ করতে না পারায় তারা ও কিছু বহিরাগত লোক তার কক্ষে হামলা করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায় সকল ক্লাবকে এক সাথে পাওয়ার টিলার সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। এসময় থানার পুলিশ ও ডিএসবি বিভাগের সদস্যদের তার কক্ষে বসা দেখলেও কোন প্রকার হামলার আলামত দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম জানান, প্রকল্পভূক্ত এলএফএস ক্লাবের কৃষকদের পাওয়ার টিলার বরাদ্ধের বিষয় আমাকে না জানানোর কারন কি তা কৃষকদের অভিযোগ থেকে পরিস্কার হয়েছি। তাই এলএফএস ক্লাবের কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেলে উপজেলা পরিষদের সভায় আলোচনা করে এ ধরনের দূর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।