পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস দখল-পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৭ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটেছ।
জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বেশ কিছু লোকজনসহ সাাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস দখলে নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে পুলিশের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শামসুল হক টুকু’র ছোট ভাই আব্দুল বাতেন পুলিশের সহযোগীতায় অফিসের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেন। স্থানীয় বাজারের লোকজন ও সাইয়িদ সমর্থকরা জানান, বাতেনের নেতৃত্বে অফিসে থাকা প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় ৪ নেতার ছবিসহ বেশ কয়েকটি ছবি ভাংচুর এবং তছনছ করা হয়।
পুলিশের বেড়া অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অফিস তছনছ অবস্থায় দেখতে পায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন আরো জানান এ ঘটনায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও তার ছোট ভাই এবং বেড়া পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অধ্যাপক আবু সাইয়িদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিস ভাংচুর ও ছবি ছেঁড়ার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটা ওদের (টুকু সমর্থকদের) নীল নকশা আর পরিকল্পনার অংশ। তিনি জানান, সাঁথিয়া আওয়ামী লীগের ঐ অফিসটি তার নিজের বাড়ী। তিনি এখনো ঐ বাড়ীর খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। দুপুরে ঐ বাড়ী দেখতে গিয়ে সেখানে তার দেয়া তালার বদলে অন্য একটি তালা মারা অবস্থায় দেখে তিনি নিজে অন্য একটি তালা লাগিয়ে আসেন। অফিসের ভেতরে থাকা কোনো জিনিষে কেউ হাত দেয়নি। তছনছ করা বা ভাংচুর করার প্রশ্নই আসে না।
উল্লেখ্য, আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাঁথিয়া উপজেলা ও বেড়া উপজেলার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। অপর দিকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
অফিস দখল পাল্টা দখল ও সাইয়ীদেও বিরুদ্ধে মামলা করা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।