বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে শান্তি-সম্প্রীতি ও সামাজিক উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান হয়েছে। বিলাইছড়ি জোন তথা ভিক্টরী টাইগার্স এর ব্যবস্থাপনা ও রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৮ ডিসেম্বর রবিবার বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী ওই উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
৫ বেংগল অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল মো. ইফতেকুর রহমান পিএসসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সারোয়ার হোসেন এইচডিএমসি ,পিএসসি। জোন স্টাফ অফিসার মেজর রায়হান আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিলাইছড়ি জোনের সামাজিক উন্নয়ন সহায়তা কল্পে পৃথক ভেন্যুতে বিভিন্ন সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কর্তৃক ১শ ৫০ জন শীতার্থ গরীব দুঃস্থদের মাঝে কম্বল, ৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্কুল ব্যাগ,২৬ জন শিক্ষার্থীকে ২ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তির অর্থ প্রদান, ১ জন দরিদ্র অসহায় ব্যক্তিকে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য ৫ হাজার টাকা প্রদান,২০ জন ধাএী প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদিপূর্ণ ব্যাগ, ৩টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ফ্যান ও মাইক বিতরণ,৮টি ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ,দুঃস্থ অসহায় নিয়ত কুমার তঞ্চঙ্গ্যাকে গৃহ নির্মাণের জন্য ১ বান্ডেল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। তাছাড়া সেনা জোনের চিকিৎসক ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ-আল-জুবায়ের এর তত্ত্বাবধানে শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। রাঙ্গামাটি রিজিয়নের পক্ষ থেকে বিলাইছড়ি মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজকে প্রধান অতিথি ১ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন। এরপর স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নে অবদান রাখায় নেতৃস্থানীয় ১৫ ব্যক্তিকে রিজিয়ন কমান্ডার স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করেন। অত:পর স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় অতিথিসহ পাহাড়ি-বাঙ্গালী বিপুল সংখ্যক দর্শক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সেনাবাহিনীর দিনব্যাপী সামাজিক উন্নয়ন অনুষ্ঠানটিতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল ইসলাম,রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রবীন্দ্র লাল চাকমা,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লাল এ্যাংলিয়ানা পাংখোয়া,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অমর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা,চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, চেয়ারম্যান অমরজীব চাকমা,আওয়ামীলীগ নেতা সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও জেএসএস নেতা চন্দ্র লাল চাকমা রাহুল প্রমুখ। সেনাবাহিনীর এ ধরণের সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে পাহাড়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালীর মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেল বন্ধন সুদৃঢ় হয়ে এলাকার সার্বিক আর্থ সামাজিক কর্মকান্ডে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সুশীল সমাজ অভিমত ব্যক্ত করেন।