পাবনা প্রতিনিধি : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘নির্বাচনী আচরনবিধি’ লংঘনের অভিযোগে পাবনা-১ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার কাজী আশরাফ উদ্দিন এই চিঠি দেন।
পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম মাহাতাব উদ্দিন জানান, সম্প্রতি ওই আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শামসুল হক টুকু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা ব্যবহার করে পুলিশী প্রটোকলে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন বলে লিখিত অভিযোগ আনেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে শামসুল হক টুকুর কাছে ডাকযোগে কারণ দর্শানোর এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাওয়ার তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
নির্বাচন অফিসার আরও জানান, জেলার ৫টি নির্বাচনী আসনের মোট ১৬ জন প্রার্থীর সকলের কাছেই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস তছনছ ও বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে সাঁথিয়া থানায় অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নৃপেন্দ্র নাথ বর্মন জানান, রোববার সকালে বেড়া উপজেলার সানিলা গ্রাম থেকে আরিফুল ইসলাম আরিফকে মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠনো হয়েছে। এদিকে রবিবার অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদও একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ২ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. আবু সাইয়িদ নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন ও সহকারী রিটানিং অফিসার ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের কাছে। এ ছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে সাঁথিয়া প্রেসক্লাবেও আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অভিযোগে বলেন, বর্তমানে এখানে লেবেল প্লেইং ফিল্ড নেই, এভাবে থাকলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। বিভিন্নস্থানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছবিসহ বিলবোর্ড টানানো রয়েছে। পুলিশ প্রটোকল ও সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার কাজী আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চিঠি দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জবাব না পেলে পরিবর্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।