তাপস চন্দ্র সরকার, চট্টগ্রাম উত্তর : হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন- ১৯৭১ সালের এইদিনে কুমিলাকে শত্র“ মুক্ত করতে সক্ষম হয়ে ছিলাম। ৮ই ডিসেম্বর কুমিলা ছিলো হানাদার মুক্ত এবং স্বাধীন। যারা ’৭১সালে রনাঙ্গণে যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছে আমি তাদের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমি আজকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, যার জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতোনা, সেই প্রিয়নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ ছাড়াও জাতীয় ৪ নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। জাতি আজ এক ক্রান্তি লগ্নে।
একদিকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, অন্যদিকে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। তিনি বলেন, আজকে আর্ন্তজাতিকভাবে এবং জাতীয় পর্য্যায়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক পন্থায় সংগ্রাম করে এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে গণতান্ত্রিক ভাবে দেশ যখন পরিচালনা হচ্ছে, ঠিক সেই সময় আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়ার জন্যে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত-শিবির ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা ও সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে নির্বাচন। ক্ষমতা বিভিন্নভাবে পরিবর্তন হতে পারে। একটা পদ্ধতি হচ্ছে হঠাৎ করে কোন সাময়িক জ্যান্তা ক্ষমতা দখল করে। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে গণতান্তিক পন্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে। ১৯৬৯সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশে গণ-বিস্ফোরণ ঘটে ছিলো এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯১সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পত্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। আজকে গার্মেন্ট ও যাত্রীবাহী গাড়ীতে গান পাউডার দিয়ে আগুন দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন জামায়াত-শিবির চক্র। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার ২০১৪ সালের মধ্যে সকলের জন্য সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছেন। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই ষড়যন্ত্র চলছে। এ সকল ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করার আহবান জানান তিনি। স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করারও আহবান জানান হাজী বাহার। আজ ৮ই ডিসেম্বর কুমিলা মুক্ত দিবস উপলক্ষে কুমিলা টাউন হল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউল আহম্মেদ বাবুল বলেন, আজকে দেশ এক ক্রান্তি লগ্নে। কুমিলার নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধার ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা যদি পুনরায় আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে না পারি তাহলে এদেশ আবার পাকিস্তানের ভাব ধারায় চলে যাবে। কুমিলা-৬ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারকে আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহবান জানান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাবুল।
আলোচনা শেষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুমিলা জেলা শাখার আয়োজন হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি’র নেতৃত্বে আনন্দ র্যালী নগরী’র কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠ থেকে বের হয়ে মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, সার্কেট হাউজ হয়ে পুন:রায় টাউন হলে এসে শেষ হয়।
ওই র্যালীতে অংশ গ্রহন করেন- কুমিলা জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব ওমর ফারুক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্চয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলাল উদ্দিন, আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ, জেলা মুক্তিযোদ্ধ কমান্ডার শফিউল আহম্মেদ বাবুল, ডেপুটি কমান্ডার গিয়াসউদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম সেলিম, শহর আওযামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রুস্তম আলী, অ্যাড. গোলাম ফারুক, কুমিলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অভিবাদ সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল, কুমিলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শহীদুল হক সেলিম, কুমিলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ডা: মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, কুমিলা অজিত গুহ কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম আলকাছুর রহমান, কুমিলা কালচারাল কম্পেক্সের ফরিদউদ্দিন সিদ্দিকী, কালচারাল অফিসার বশিরুল আনোয়ার, কুমিলা টাউন হল সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর, কুমিলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, যুবলীগ নেতা আব্দুলাহ আল মাহমুদ শহীদ, সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান খসরু, কুমিলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুর রহমান, নারীনেত্রী ফাহমিদা জেবিন, কাউন্সিলর জমির উদ্দিন খাঁন জম্পি, কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কাউন্সিলর অ্যাড. শওকত আকবর, কাউন্সিলর শাহ আলম খাঁন, জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুনুর রশিদ মামুন, মহানগর যুবলীগ নেতা কাউসার হোসেন সহ শত শত নেতাকর্মী। এ ছাড়াও র্যালীতে অংশ গ্রহণ করেন- পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কুমিলা জেলা শাখা, কুমিলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ, কুমিলা টাউন হল ছিন্নমুল হকার্স সমিতি, ফেডারেশন অব গভঃ টির্টাস এসোসিয়েশন ও শিক্ষা আর্ন্তজাতিক (ই.আই), শৈল রাণী দেব বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শহর হকার্স সমিতি, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মহানগর ছাত্রলীগ, কুমিলা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সহ ৫, ৭, ৮, ১৬, ১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কুমিলা মহানগরের নেতৃবৃন্দ।