জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলের অধ্যুষিত উপজেলাগুলোর গ্রামীণফোনের (জিপি) নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বার্তা আদান-প্রদানে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে অপরদিকে গ্রাহকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সূত্রে জানা যায়, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদুপুরসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার আশপাশের অধিকাংশ এলাকায় গ্রামীণ ফোনের ইন্টারনেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ২৩৬ শনঢ়ং থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে প্রতি সেকেন্ডে ২০ শনঢ়ং থেকে ২৫ শনঢ়ং ডাউনলোড স্পিড এবং আপলোড স্পিড ৫শনঢ়ং থেকে ১০শনঢ়ং কিলোবাইটে ওঠানামা করছে।
কোনো কোনো সময় তা শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকছে। এতে ওয়েব ঠিকানায় ঢুকতে, ই-মেইল বার্তা পাঠাতে, আবলোড কিংবা ডাউনলোড করতে গ্রাহকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় সর্বাধিক দ্রæতগতির সার্চ ইঞ্জিন নামে পরিচিত গুগলের হোম পেইজ আসতে প্রায় ১০/১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়।
এ ছাড়া অধিকাংশ মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় অকারণে সংযোগ আপনা আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসব এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতেই ঘরের ভেতর মোবাইল সংযোগ পাওয়া এখন দুরূহ ব্যাপার। উপজেলা সদরসহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ইন্টারনেটের কোনো গতি নেই। এমনকি ঐ এলাকায় গ্রামীণফোনের হোমপেজও আসে না।
অপরদিকে, ইন্টারনেটে ছবি বা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাঠাতে অপেক্ষা করেও কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে বিকেল থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। এ কারণে অনেকে গ্রামীণের সংযোগ খুলে অন্য অপারেটরের সংযোগ গ্রহণ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, ‘সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে পাঠদান পদ্ধতি চালু করেছে। কিন্তু গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্কের দুর্বলতার কারণে ফের টাকা খরচ করে অন্য অপারেটরের সংযোগ ব্যবহার করছি।’
আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা কম্পিউটারের জন্য আগে গ্রামীণের সংযোগ ব্যবহার করতাম, কিন্তু বর্তমানে এই অপরেটরের সংযোগের যা দুরবস্থা, তাই অন্য অপারেটরের সংযোগ ব্যবহার করছি।’
তাদের অভিযোগ, গ্রামীণফোন তাদের সেবার মান না বাড়িয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা শুধু গ্রাহকদের পকেট কেটে চলছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। গ্রাহকরা অবিলম্বে গ্রামীণফোনের সেবার মান বাড়িয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি লাঘবের জোর দাবি জানান।