সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জে একটি পন্যবাহী ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে অবরোধকারিরা। এসময় ভাংচুর করা হয় আরো দুটি ট্রাক। কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার ও ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক তরফা তফসিল ঘোষনার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধিন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের পঞ্চম দিন বুধবার রাতে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে কাজিপুর থেকে সিরাজগঞ্জগামী একটি পন্যবাহি ট্রাক সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জে পৌছলে ট্রাকটিতে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারিরা। এ সময় ঐ স্থানে একই দিক থেকে আসা আরো দুটি ট্রাক ভাংচুর করে তারা। পরে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডের কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এছাড়াও ককটেল বিস্ফোরন, মটরসাইকেল ভাংচুর ও বিচ্ছিন্ন পিকেটিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার ও ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক তরফা তফসিল ঘোষনার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধিন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের ষষ্ঠ দিন বৃহস্পতিার ভোর থেকে দশটা পর্যন্ত এ ঘটনাগুলো ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শিসূত্রে জানা যায়, অবরোধের ষষ্ঠ দিন বৃহস্পতিবার বেলা দশটার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়ক জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটানো হয়। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে প্রায় পাচ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় ঐ সড়কের খলিফা পট্টি মোড়ে আরো দুটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যায় অবরোধকারিরা। এর আগে সকাল আটটার দিকে সয়দাবাদ-বেলকুচি সড়কের সদর উপজেলার খিদির এলাকায় দুটি মটরসাইকেল ভাংচুর করে বিএনপি কর্মিরা। এদিকে ভোর থেকেই সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার বহুলি বাজার, সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ও সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার এল জি ইডি মোর, শিয়ালকোল ও চন্ডিদাসগাতি বাজারে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং করছে বিএনপি কর্মিরা। জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে অবরোধের সমর্থনে কোন মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। অবরোধের শেষ দিনে সকাল থেকে শহরের অধিকাংশ দোকনপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাস ট্রার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা বা দূরপালার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। শহরে রিক্সাভ্যান সহ হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারিবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারনে অবরোধে এ পর্যন্ত জেলার কোথাও তেমন কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।