ads

বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শীতের সুস্বাদু সবজী ফুলকপি এ বছর বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড ভঙ্গকারী দামে

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ৪, ২০১৩ ৩:০৫ অপরাহ্ণ

Picture-02(28)এম লুৎফর রহমান, নরসিংদী : শীতকালে বাঙ্গালীর প্রিয় সবজী ফুলকপি’র দাম এবার আকাশ ছোঁয়া। আশ্বিন কার্তিক মাস পেরিয়ে অগ্রান মাস এসে গেলেও ফুলকপির দাম কমছে না। ছোট আকারের একটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারে একটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। এর আগে শীতের প্রারম্ভে ফুলকপির প্রপুষ্পমঞ্জুরী অর্থাৎ ক্ষুদ্রাকৃতির ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ফুলকপির এই মূল্য বাংলাদেশের যে কোন সময়ের রেকর্ড ভঙ্গকারী। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
স্বল্প আয়ের মানুষ এবার ফুলকপির স্বাদ পাচ্ছে না। বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণীর লোকেরা ফুলকপির ধারে কাছেও যেতে পারছে না। একজন শ্রমিক একটি মিলে চাকুরী করে বেতন পাচ্ছে মাসে দেড়/২ হাজার টাকা। দৈনিক মজুরী পড়ছে ৫০/৬০ টাকা। এ অবস্থায় একদিনের পুরো বেতন দিয়ে একটি ফুলকপি ক্রয় করা একজন শ্রমিকের পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব হচ্ছে না। ফুলকপির এই অগ্নিমূল্য সম্পর্কে খুচরা ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফুলকপির মূল্য তারা নির্ধারন করেন না। পাইকারী ক্রেতারা যে দামে বিক্রি করে তার চেয়ে ২/৪ টাকা লাভ করে খুচরা বিক্রেতারা ফুলকপি বিক্রি করে। পক্ষান্তরে পাইকারী বিক্রেতারা জানিয়েছে, কৃষকদের হাত থেকে ফুলকপি ফড়িয়াদের মাধ্যমে আড়তে আসে।এর মধ্যেই দাম নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ ফড়িয়ারাই ফুলকপির দাম বাড়িয়ে দেয়।
এব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ফুলকপি বাংলাদেশের একটি আদিম সবজী। একসময় শীতকালে এদেশে ফুলকপি ব্যাপক চাষ হতো। কার্তিক মাসের আগে বাজারে ফুলকপি খুব একটা দেখা যেতো না। তাপমাত্রা নিম্নাংকের দিকে না গেলে ফুলকপির ফলন হয় না। বর্তমানে এই সবজীর চাষাবাদ অনেক কমে গেছে। জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর আশেপাশের সমতল ভূমিতে কৃষি জমি কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে প্রতিবছরই ফুলকপি আগাম উৎপাদন করে বেশী মুনাফা লাভের আশায় খামারী চাষীরা বিশেষ ব্যবস্থায় ফুল কপি চাষাবাদ করে। কিন্তু তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে না পারায় ফুলকপির ফলন হয় খুব ছোট আকারে। অর্থাৎ চাষীরা প্রপুষ্পমঞ্জুরী অবস্থায়ই ফুলকপি বাজারে পাঠিয়ে দেয়। সমাজের ধনীক শ্রেণীর ক্রেতারা এই প্রপুষ্পমঞ্জুরীই চড়া দামে কিনে নেয়। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। ফুলকপির জাত মুলত দুইটি। একটি হচ্ছে আগাম জাতের এবং আরেকটি হচ্ছে নাবি জাতের। আগাম জাতের ফুলকপি উৎপাদিত হয় কার্তিক, অগ্রান ও পৌষ মাস পর্যন্ত এবং নাবী জাতের ফুলকপি উৎপাদিত হয় মাঘ ও ফাল্গুন মাস পর্যন্ত । আগাম জাতের ফুলকপি খামারী চাষীরা বেশী আগাম চাষাবাদ করতে গেলে মওসুমী চাষাবাদে বিঘেœর সৃষ্টি হয়। যার ফলে আশ্বিন মাসে আমদানীকৃত ফুলকপির প্রপুষ্পমঞ্জরীর পর পৌষ মাস পর্যন্ত  বাজারে ফুলকপির একটি ফাকা অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই সময়টাতেই ফুলকপির মূল্য বেড়ে যায়। এ বছর এ ক্ষেত্রেও ব্যাপক ব্যতিক্রম দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের যেকোন সময়ের চেয়েই বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি। তবে এ অবস্থা পৌষ মাসের দিকে কেটে যেতে পারে। এছাড়া ভাদ্রমাসে এবছর বেশী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে ফুলকপির অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় এবং যারা অগ্রিম কপি চাষাবাদ করেছিল তাদের ফসলও মার খেয়ে যায়। যার ফলে এবার ফুলকপির দাম এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!