শ্যামলবাংলা ডেস্ক : অবরোধে অব্যাহত নাশকতায় গাইবান্ধায় পদ্মরাগ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে ৫ জন নিহত ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক। রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলায় চাঁদপুরে আন্ত:নগর মেঘনা এবং খুলনায় নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। গাইবান্ধার বোনারপাড়া, খুলনার ফুলতলা এবং চাঁদপুর শাহতলীতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ওইসব নাশকতার ঘটনা ঘটে। এতে খুলনা ও চাঁদপুরের সঙ্গে সারা দেশের এবং উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট-শান্তাহার পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, অবরোধের মধ্যে রেল লাইনের ফিসপ্লেট ও ক্লিপ খুলে ফেলায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে গাইবান্ধার বোনারপাড়া ও মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনের মাঝামাঝি ভুরঙ্গী এলাকায় পদ্মরাগ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। এতে পদ্মরাগের ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এর মধ্যে একটি বগি দুমড়ে মুচড়ে ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যাওয়ায় ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রেনটি থেকে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক কোব্বাত আলী জানান। নিহতদের মধ্যে ২ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ। তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, দুর্বৃত্তরা রেল লাইনের ফিসপ্লেট ও ক্লিপ খুলে রেখে যাওয়ায় ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাদ্দাম হোসেন ও দুদু মিয়া নামে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
বোনারপাড়া স্টেশনের মাস্টার প্রসেন কুমার মণ্ডল জানান, বোনারপাড়া জংশন থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন এবং গাইবান্ধা, রংপুর ও বগুড়ার সোনাতোলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এখানও কয়েকজন যাত্রী একটি বগিতে আটকে আছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধীদলের অবরোধে কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে রেলপথে ব্যাপক নাশকতা ঘটানো হচ্ছে। ফিসপ্লেট বা লাইন উপড়ে ফেলার পাশাপাশি ট্রেনেও আগুন দেয়া হয়। ওইসব ঘটনায় বহু যাত্রী আহত হলেও গাইবান্ধাতেই প্রথম নিহতের ঘটনা ঘটল।
