ads

বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আজ কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ৪, ২০১৩ ১২:০১ অপরাহ্ণ

bakshigaj  kamalpur pic.psdজামালপুর প্রতিনিধি : আজ ৪ ডিসেম্বর, কামালপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান জামালপুরের বকশীগঞ্জ ধানুয়াকামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ঐতিহাসিক এই দিনটি উদযাপনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ দিনে পাক সেনারা বীর বাঙ্গালীর মুক্তি সেনাদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত’র মধ্যি দয়ে শত্র“মুক্ত ঘোষণা করা হয়। উড়ানো হয় বিজয় পতাকা।
৭১’র মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল আবু তাহের বীর উত্তম’র নেতৃত্বে পরিচালিত হত পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে শত্র“ মোকাবেলার মুক্তিযুদ্ধ। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুরের ২কি:মি: দুরে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ। এই অঞ্চল ছিল ১১নং সেক্টরের সদর দপ্তর । ১১নং সেক্টরকে ৮ ভাগে বিভক্ত হয়ে সাব-সেক্টর থেকে যুদ্ধ চলত। সাব-সেক্টর গুলো হচ্ছে, মহেন্দ্রগঞ্জ, মানকারচর, পুরাকাশিয়া, ঢালুরচর, বাগমারা , শিববাড়ী, রংড়া, ও মহেশখোলা। মুক্তিযুদ্ধে ধানুয়া কামালপুর ছিল বহুল আলোচিত, দুর্ভেদ্য ও সুরক্ষিত পাকসেনাদের ঘাঁটি। ১৯৭১ সালের ১২ জুন থেকে ২৮ নভেন্বর পর্যন্ত ১১নং সেক্টরের অধিনে ৩ হাজার মুক্তি সেনা এবং ১৯ হাজার গণবাহিনীসহ সর্বমোট ২২ হাজার বাঙ্গালী যুদ্ধ করেন। এই সেক্টরে পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ বার মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। মুক্তিযুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনসহ মোট ১শ’ ৯৪ জন বীর বাঙ্গালী শহীদ হন। অপর দিকে ৪শ’ ৯৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।
১৩ নভেম্বর কর্ণেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে কোম্পানী কমান্ডার লেঃ মিজান, ক্যাপ্টেন মান্নান, সাইদ কোম্পানী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ২টি আর্টিলারী কোম্পানীর সাহায্যে রাতের অন্ধকারে কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্প আক্রমন করেন। এই সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১মেজরসহ ২টি কোম্পানীর পাকসেনা নিহত হয়। পরদিন ১৪ নভেম্বর পাকসেনাদের একটি মর্টার সেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবু তাহেরের গুরুতর আহত হন। এ সময় উইংকমান্ডার হামিদুল­াহ খান সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন । ২৪ নভেম্বর থেকে কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্প অবরোধ করে রাখেন মুক্তিযোদ্ধারা। ৩ ডিসেম্বর যৌথকমান্ডের সিদ্ধান্তে অবরুদ্ধ পাকসেনা ক্যাম্পে একটি চিঠি পাঠানো হয়।
বকশীগঞ্জের বৈঞ্চবপাড়ার অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা বশীর আহমদ বীর প্রতীক মৃতু নিশ্চিত জেনেও জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে ঐতিহাসিক সেই চিঠি নিয়ে পাকসেনা ক্যাম্পে যান। চিঠিতে লেখা ছিল ‘তোমাদের চারদিকে যৌথবাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। বাচঁতে চাইলে আত্মসর্মপণ কর।  নইলে মৃত্যু অবধারিত।’ এই চিঠি পেয়ে পাকসেনা কমান্ডার আহসান মালিক বীর বশিরের উপর নির্যাতন চালায়। বার্তাবাহক বশিরের ফিরতে দেরী হওয়ায় সাথী মুক্তিসেনারা বিচলিত হয়ে পড়েন। সাথীদের মনে সন্দেহ পাকসেনারা বশিরকে হত্যা করেছে। এ ক্ষোভে মুক্তিসেনারা পাকসেনাদের ক্যাম্প আক্রমনের প্র¯‘িত গ্রহণ করেন। এর আগে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে আরেকটি পত্রসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা সঞ্জুক পাকসেনা ক্যাম্পে হাজির হন। পত্রে লেখা ছিল উপায় নেই। বাচঁতে হলে আত্মসর্মপন করতে হবে।
৪ ডিসেম্বর পুণ: চিঠি পেয়ে পাকসেনার গ্যারিসন অফিসার আহসান মালিকসহ বেলুচ, পাঠান ও পাঞ্জাবের ১শ’ ৬২ সৈন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসর্মপন করে। ওই দিন শত্র“মুক্ত ঘোষণা করা হয় বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুরকে। খুশীর খবর হলো কামালপুরের মাটিতে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির ও সঞ্জু স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের বিজয়ী পতাকা উত্তোলন করেন । ধানুয়া কামালপুরের বিজয়ে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিসেনারা বিজয়ের পতাকা নিয়ে বকশীগঞ্জ শেরপুর জামালপুর এবং টাংগাইল শত্র“ মুক্ত করে রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ করেন।  এ অভিযানে ব্রিগেডিয়ার হরদেব সিং ক্লেয়ার ও মেজর জেনারেল নাগরা ছিলেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!