এম.এ ছালাম, মহাদেবপুর (নওগাঁ) : নওগাঁর মহাদেবপুরের কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে ৫শ ৬৫ হেক্টর বেশী জমিতে আমন রোপন করেছিলেন। এখন ফলনেও অতিক্রম করেছে লক্ষ্যমাত্রা। ১৩ হাজার ২শ ৮৫ মে. টন বেশী ধান ফলন হয়েছে উপজেলায়। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা যেখানে ধরা হয়েছিল ৯৮ হাজার ৯শ ৮১ মে. টন ধান সেখানে ফলন এসেছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ২শ ৬৬ মে.টন ধান।
এর আগে মৌসুমের শুরুতে আমন রোপন লক্ষ্যমাত্রা ২৭ হাজার ৫৫ হেক্টর জমি ধরা হলেও কৃষক ২৭ হাজার ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে আমন রোপন করেন যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫শ ৬৫ হেক্টর বেশী। আমনে উল্লেখিত লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রাপ্তি নওগাঁ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী জানায় স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ এলাকায় সাধারণত প্রতিবিঘা জমিতে আমন ধান ১৪ থেকে ১৫ মণ হারে ফলন হয়ে থাকলেও এবার প্রতিবিঘা জমিতে গড় ফলন হয়েছে ১৮ মণ ধান। এরকম বাম্পার ফলনের জন্য ক্ষেতের প্রতি এবার কৃষকদের অধিক যতœ এবং সতর্কতাই মূল কারণ বলে জানান কৃষি সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধিক তৎপরতার ফলে কৃষকরা এবার ক্ষেত-ফসলের দিকে মনযোগী হয় এবং কীটনাষকের পেছনে মাত্রাতিরিক্ত খরচ ছাড়াই পার্চিংসহ নানান পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন করেন। এতে একদিকে খরচ সাশ্রয় হয়েছে, অপরদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে উৎপাদন। ক্ষেত থেকে ফসল ওঠার মুহূর্তগুলোতে এমনিতেই কৃষকের মন থাকে ভাল। তার উপর যদি ফলন হয় প্রত্যাশার অধিক তাহলে কৃষকের খুশির মাত্রা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সহজেই অনুমেয়। মাত্রা ছাড়ানো ফলনে উপজেলার আমনচাষী কৃষাণ-কৃষাণীর মাঝে এখন বিরাজ করছে হাসি-খুশি অবস্থা। গোলা ভরা ধান থেকে কৃষক মেতেছে নবান্নের উৎসবে। বাড়ি বাড়ি নতুন ধান থেকে তৈরী পিঠা-পুলির সৌরভে এখন গ্রামে গ্রামে বিরাজ করছে ভিন্ন রকম উৎসব-উৎফুল্লতা।
উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম মফিদুল ইসলাম আমনের মাত্রা ছাড়ানো ফলনের কথা উল্লেখ করে জানান, আধুনিক পদ্ধতি ও সাশ্রয়ী পন্থায় ফসল চাষাবাদের বিষয়ে কৃষকদের যত বেশী সচেতন করা যাবে ক্ষেতের ফলনমাত্রা ততই বৃদ্ধি পাবে।
